Thursday , August 7 2025

চট্টগ্রামে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় জেলা পরিষদের কার্যক্রম জোরদারের ঘোষণা প্রশাসক নুরুল্লাহ নুরীর

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) নুরুল্লাহ নুরী বলেছেন, দেশের অন্যতম প্রাচীন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ তামাক নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এবং ভোক্তা অধিকার সুরক্ষাসহ নানা সামাজিক ইস্যুতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম জোরদার করবে। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজে সচেতনতা তৈরিতে জেলা পরিষদ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি আজ (৬ আগস্ট) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ-এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত “স্থায়িত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি সংগঠনসমূহের সম্পৃক্ততা জরুরি” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন। সঞ্চালনায় ছিলেন ক্যাব বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, বিশিষ্ট কলামিস্ট মুসা খান, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি জানে আলম, চান্দগাঁও ল্যাবরেটরি পাবলিক স্কুলের সভাপতি ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, সাংবাদিক কমল চক্রবর্তী, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফরিদা বেগম, ক্যাব পাহাড়তলীর প্রতিনিধি হারুন গফুর ভুইয়া, সিএসডিএফ-এর প্রকল্প সমন্বয়কারী শম্পা কে. নাহার এবং যুব ক্যাব কর্ণফুলীর সাধারণ সম্পাদক সিদরাতুল মুনতাহা।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে তামাক নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ রাখা এবং সেই বরাদ্দ যথাযথভাবে ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তবে বাস্তবতায় অধিকাংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এ খাতে তেমন কোনো কার্যকর অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।

বক্তারা আরও বলেন, ধূমপান ও তামাকজনিত রোগব্যাধির বিস্তার, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ এবং ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাই মানবিক সংগঠন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও করপোরেট গ্রুপগুলোকে এগিয়ে এলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

This post has already been read 39 times!

Check Also

দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি রূপান্তরে সার্কের উদ্যোগে শুরু হলো আঞ্চলিক সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সার্ক কৃষি কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ভার্চুয়াল আঞ্চলিক পরামর্শ সভা “সার্ক সদস্য …