নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশাল অঞ্চলে উপযোগী বিনা উদ্ভাবিত জাত জনপ্রিয় জাতসমূহের সম্প্রসারণ এবং বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে অর্ন্তভুক্তিকরণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) বরিশালের রহমতপুরের বিনা উপকেন্দ্রের হলরুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান ও বিনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রেজা মোহম্মদ ইমন। বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদারের মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহম্মদ আশিকুর রহমান।
বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চলনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইসস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার মজুমদার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইসস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মাদ আশিক ইকবাল খান, ডিএই ভোলার উপপরিচালক মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম, ডিএই পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক এইচ এম শামীম, বিনার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, বিএডিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক পপি বৈরাগী, পিরোজপুর সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শওকত হোসেন, বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল নূর তুষার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, একই এলাকায় ফসলের সব জাত ব্যবহার করা যাবে এমনটি নয়। যেখানে যেটা ভালো হয়, সেখানে সেই জাতই লাগানো উচিত। বিনা হতে ইতোমধ্যে ২২টি ফসলের ১৩৫টি জাত উদ্ভাবন হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বেশ কিছু জাত রয়েছে। এগুলো আবাদের মাধ্যমে বরিশাল অঞ্চলের শ্যসের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি কৃষকরা হবেন লাভবান। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনাস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা, কৃষক ও বীজ ডিলার মিলে একশজন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।