নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সারের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যদেরকে বিবেচনায় নেয়া হবে। এখন থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো ডিলারশিপ দেয়া হবে না।
উপদেষ্টা আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, যারা কৃষি খাতে দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান সরকারের সময়ে সার ক্রয়ের সকল প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, গত মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন ধান অধিক উৎপাদন হয়েছে।
দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি। শাকসবজি সংরক্ষণে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে। পিঁয়াজ সংরক্ষণে কৃষকদের আধুনিক সংরক্ষনাগার নির্মাণ ও এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বছর দেশে শাক সবজি, পিঁয়াজ ও আলু উৎপাদন ভালো হয়েছে। আলু অধিক মাত্রায় উৎপাদন হওয়ায় কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছে না। সে কারণে সরকার ওএমএস কার্যক্রমে আলু অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরে বন্যায় দেশের পাঁচটি জেলায় ফসলের উৎপাদন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সারের মূল্য পরিশোধ করতে সরকারের হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে সে সংকট সরকার কাটিয়ে উঠেছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে।
তিনি আরো বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে সার আমদানির জন্য সরকার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সাথে সার ক্রয়ের বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। আপাতত সারের কোনো ঘাটতি নেই বলে তিনি জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনীসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শাকসবজির বীজ প্রদনা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে গত অর্থবছরে প্রায় ৩৩ লাখ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান কৃষি উপদেষ্টা।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান উপস্থিত ছিলেন।