সিকৃবি সংবাদদাতা: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চ্যান্সেলর এবং বর্তমান সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মো. ইকবাল হোসেনের মৃত্যুতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, আজ আমরা গভীর শোক ও ব্যথিত হৃদয়ে এক মহান শিক্ষাবিদ, শ্রদ্ধেয় অভিভাবক এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চ্যান্সেলর ও বর্তমান সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মো. ইকবাল হোসেন স্যারের অকাল মৃত্যুতে একত্রিত হয়েছি। তিনি শুধু একজন প্রশাসক ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের পথপ্রদর্শক, একজন জ্ঞানতাপস, এবং মানবিক গুণে ভাস্বর এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর সুদূরদৃষ্টি, অদম্য শ্রম আর নেতৃত্বগুণে এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ একটি প্রতিষ্ঠিত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কানুন সহ সকল কাজগুলো সুন্দরভাবে করার ক্ষেত্রে প্রফেসর ড. ইকবালের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে একজন পিতৃতুল্য অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি, যিনি সব সময় তরুণ শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। তাঁর বিদায় আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
সিকৃবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় শোকসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিকৃবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, দপ্তর প্রধান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
শোকসভায় বক্তারা প্রফেসর ড. মো. ইকবাল হোসেনের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর অগ্রণী ভূমিকাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তাঁরা বলেন, “তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী প্রশাসক, প্রজ্ঞাবান শিক্ষক ও মানবিক গুণসম্পন্ন একজন মহান মানুষ।”
শোকসভা শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মো. ইকবাল হোসেন তাঁর কর্মজীবনে দেশের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।