মো. গোলাম আরিফ (পাবনা) : নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে সফলভাবে চাষ করা হয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বিনাচিনাবাদাম-৮। পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা এ জাতটির ফলন হয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি, যা স্থানীয় কৃষকদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
শনিবার (১৭ মে) উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় এক মাঠ দিবস আয়োজনের মাধ্যমে এই জাতের প্রায়োগিক পরীক্ষণ মূল্যায়ন ও চাষাবাদ সম্প্রসারণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় বক্তারা জানান, বিনাচিনাবাদাম-৪, ৬ ও ৮ জাতসমূহের সাথে বারি চিনাবাদাম-৮ এর প্রায়োগিক পরীক্ষণ করা হয়। এ বছর ঈশ্বরদী ও লালপুর পদ্মার চরে ২৫ একর জমিতে আবাদ হয়েছে বিনার চিনাবাদাম। স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে এসব জাত থেকে ভালো ফলন পাওয়া যায়, যা কৃষকের আয় বাড়াতে সহায়ক হবে। পরীক্ষণ প্লটে দেখা গেছে, বারি চিনাবাদাম-৮ এর তুলনায় বিনার জাতগুলোতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রদর্শনী প্লটে চাষ করা বিনাচিনাবাদামের ফলন, গাছের উচ্চতা ও পডের গুণমান সরেজমিনে দেখানো হয়। অংশগ্রহণকারী কৃষকেরা এই জাতের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং আগামী মৌসুমে বড় পরিসরে চাষাবাদে আগ্রহী হন।
এ সময় বাদাম চাষি মজিবর ও মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার বিনাচিনাবাদাম ৪, ৬, ও ৮ এর পাশাপাশি বারি চিনাবাদাম-৮ চাষ করেছি; বিনাচিনাবাদাম-৮ এর ফলন সবচেয়ে বেশী হবে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক কম খরচ হয়েছে, কিন্তু ফলন অনেক ভালো। আগামী বছর আরও জমিতে এ বাদামের চাষ করবো।
ঈশ্বরদী বিনা উপকেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ইকবালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী যুক্ত ছিলেন, বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মাহবুুবুল আলম তরফদার, উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আশিকুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় প্রমুখ।