সিকৃবি সংবাদদাতা: দেশের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত আধুনিক কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের বাতিঘর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস- চ্যান্সেলর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অনুজীব বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেছেন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পাঠ্যক্রম ও বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষক ও গবেষকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সিকৃবিতে যুগোপযোগী ও চাহিদাসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরী করা হচ্ছে। সিকৃবির বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬২ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৩৮ জনই ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন , শতকরা হিসেবে যা ৫২ শতাংশের অধিক। যাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি,ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, কানাডা,ডেনমার্ক, সুইডেন, স্পেন, বেলজিয়াম, ইতালি, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, মালয়েশিয়ায়, চায়না, দক্ষিণ কোরিয়া,তাইওয়ান, চেক রিপাবলিকান, ফিলিপাইন ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন শেষে সিকৃবিতে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছেন।সিকৃবি শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে একাধিক শিক্ষা ও গবেষণা চুক্তি। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সময়োপযোগী গবেষণার সুযোগ পাচ্ছে।
২০২৩ সালে স্পেন ভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশন কর্তৃক উদ্ভাবনী ও জলজ বিজ্ঞানবিষয়ক র্যাঙ্কিংয়ে সিকৃবি এক নম্বর স্থান অর্জন করে। ২০২৪ সালে উদ্ভাবনী র্যাঙ্কিং ও ইনফেকশাস ডিজিজ বিষয়েও প্রথম স্থান অধিকার করে সিকৃবি।২০২৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিংয়ে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে প্রথম ও সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সিকৃবি।
শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম প্রসঙ্গে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, সিকৃবিতে আন্তর্জাতিক মানের ৫০ শতাংশের অধিক শিক্ষক রয়েছে । তিনি বলেন,সরকারি -বেসরকারি সহযোগিতায় শিক্ষকদের গবেষণার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে পারলে বাকিরাও নিজেদের আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রায় ৭ শতাধিক গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।