নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বিশ্বে মাছ উৎপাদনে আমাদের অবস্থান সম্মানজনক হলেও রপ্তানি সেভাবে নেই। মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে সরকারের আলাদা ইকোনমিক জোন করা প্রয়োজন; যেখানে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে রপ্তানির জন্য মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হবে।
উপদেষ্টা বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) তে “সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল-২০২৫” উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে কৃষিখাত থেকে আলাদা করে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে । মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিদ্যুৎবিল বেশি হওয়ায় এই খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর সৃষ্ট একটি সরকারের মাধ্যমে আমরা বৈষম্য টিকিয়ে রাখতে পারিনা। এটা আমাদের জন্য একটা চরম বৈষম্য। এই খাতের বিদ্যুৎ বিল কমাতে আমরা কাজ করছি।’
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তো সবসময় বলেন যে তোমরা উদ্যোক্তা হও। উদ্যোক্তা হওয়ার অনেক সুযোগ মৎস্য খাতে আছে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে যে কাজটি করতে হবে, সেটা হলো সুযোগগুলোকে তৈরি করে দেয়া। তাদেরকে উপকরণ ও পরিবেশগত সহায়তা দেয়া। সেটা যদি দেয়, তাহলে নিশ্চয়ই তারা করতে পারবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর একজন মানুষ গড়ে যে পরিমাণ মাছ খায় এটি একদিকে ভালো, তবে এটি বাড়ানোর সুযোগ আছে। মাছ বেশি খেলে পুষ্টির ঘাটতি কমবে; পাশাপাশি আর্থিক প্রবৃদ্ধিও ভালো হবে।
আলোচনা সভায় সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন কমিটি’র আহ্বায়ক ও মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান। বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.অনুরাধা ভদ্র, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুর রউফ, এসিআই এগ্রো লিংক লিমিটেডের বিজনেস পরিচালক সাঈদ এম ইশতিয়াক, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন সভাপতি এনাম চৌধুরী, নিরিবিলি গ্রুপ এবং শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি লৎফর রহমান কাজল। এতে চিফ প্যাট্রোন হিসেবে বক্তৃতা করেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী ফেস্টিভ্যালে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে জড়িত ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৫০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, উদ্যোক্তা, ভোক্তা ও প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেছে ।