Monday , September 1 2025

বাগেরহাট পাউবোর হক ক্যানেলের দুই পাশের অর্ধ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ফকির শহিদুণ ইসলাম (খুলনা) : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হক ক্যানেলের দুই পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলার বোয়ালিয়া ভ্যানস্ট্যান্ড থেকে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। এসময়, চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা, সহকারি কমিশনার ভূমি জান্নাতুল আফরোজ স্বর্না, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিন কাঁচা পাকা, আধাপাকা, কাঠ ও একতলা ভবনসহ অন্তত ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।পর্যায়ক্রমে এই ক্যানেলের দুই পাশে থাকা শতাধিক অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। অন্য অবৈধ স্থাপনা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে উচ্ছেদ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

দীর্ঘদিন ধরে থাকা নাব্যতা সংকট নিরসনে হক ক্যানেল খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। দরপত্র আহবান, ঠিকাদার নির্বাচনসহ সব ধরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু স¤প্রতি ঠিকাদারের লোকজন খাল খনন করতে গেলে অবৈধ দখলদারদের বাঁধার মুখে ফিরে আসেন। এরপরেই খালের দুই পাশের  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্বে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি এখন ছোট ক্যানেলে পরিনত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পুনঃখনন ও উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তারা বলেন, চিতলমারী উপজেলাবাসীর জন্য হক ক্যানেলেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্যানেলটি উপজেলা সদরেরে পাশ দিয়ে গেছে। ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই ক্যানেলটির পানিই এলাকার মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতেন। কিন্তু কিছু অসাধু দখলদারদের কারণে দিন দিন ক্যানেলটি যেমন নাব্যতা হারাচ্ছে তেমনি তার দুই পাড়ও ছোট হয়ে আসছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড দখলদারদের উচ্ছেদের যে উদ্যোগ নিয়েছে এ জন্য আমরা খুব খুশি হয়েছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে চিতলমারী বাজার সংলগ্ন হক ক্যানেল এক কিলোমিটারের খনন বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছিল। যার ফলে আমরা হক ক্যানেলের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। আশাকরি তিন চারদিনের মধ্যে এই উচ্ছেদ অভিযান শেষ হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, স¤প্রতি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সারাদেশে নদীর জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে। সেই অংশ হিসেবে চিতলমারী হক ক্যানেলের দুই পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছি আমরা।

This post has already been read 5207 times!

Check Also

WVPA-BB Organizes Landmark 3-Minute Thesis Competition in Dhaka

First-ever academic showcase of its kind in Bangladesh’s livestock sector receives overwhelming response from youth …