Tuesday , June 17 2025

বটম ক্লিন পদ্ধতিতে মাছ চাষে যেসব কারণে লাভ-ক্ষতি হয়

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান: বটম ক্লিন পদ্ধতিতে মাছ চাষে যেসব ভুল ও সুব্যবস্থাপনার কারণে প্র্রজেক্টে ক্ষতি ও লাভ বয়ে আনে সেগুলো নিম্নে দেয়া হলো-

যে সমস্ত ব্যবস্থাপনায় প্রজেক্ট ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়:

  • পুকুর বা ঘেরের পানির ও মাটির পরিবেশ ঠিক আছে কিনা তার দিকে নজর না দেয়া।
  • মাছ চাষের জন্য মাটি ও পানির pH ঠিক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ না করা।
  • পুকুরের তলদেশে গ্যাসের আধিক্য আছে কিনা তা নিয়মিত না করা।
  • পুকুরের মাছের ওজন অনুপাতে খাদ্য না দিয়ে অতিরিক্ত বা কম খাদ্য প্রয়োগ করা।
  • পুকুরের আয়তন সাপেক্ষে মাছ না দিয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা।
  • প্রোটিনযুক্ত খাবার প্রয়োগ করতে না পারা।
  • প্রাকৃতিক খাদ্যের আবির্ভাব কম পরিমানে থাকলে।
  • মাছের ভাইরাস সমস্যার সম্মুখীন হলে অথবা গ্যাসীয় সমস্যার আগে প্রোবায়োটিক প্রয়োগ না করা।
  • মাছের সাইজ একই রকম না হলে।
  • বাজার দর যখন ভালো থাকে সে সময় মাছ বিক্রি না করতে পারলে।
  • দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক দ্বারা প্রজেক্ট পরিচালনা না করলে।

যে সমস্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ/ব্যবস্থাপনায় প্রজেক্ট লাভবান হয়

  • পানি ও মাটির পরিবেশ ঠিক রাখলে।
  • পানি ও মাটির pH স্বাভাবিক বা আদর্শ মাত্রায় রাখতে হবে।
  • পুকুরের তলদেশের বিভিন্ন রকম গ্যাসের আধিক্য বাড়তে না দেওয়া (এমোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস, মিথেন, ইথেন ইত্যাদি।
  • মাছ চাষে মাছের ঘনত্ব ঠিক রাখতে হবে।
  • মাছের ওজন অনুপাতে খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে।
  • প্রোটিনের পরিমাণ মাছের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক আছে এমন খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে যা মাছের খাদ্য রুপান্তর হার (FCR) ঠিক রাখে।
  • প্রাকৃতিক খাদ্যের আবির্ভাব কেমন আছে তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • প্রতি ৭-১০ দিন পর পর মাছের ওজন দিতে হবে যা থেকে মাছের FCR নির্ণয় করা যায়।
  • কিছু দিন পর পর মাছের গায়ে স্লেশ্মা/বিজল আছে কিনা তা দেখতে হবে।
  • মাছের গায়ে ক্ষত বা অন্য কোন দাগ আছে কিনা তা দেখতে হবে।
  • পুকুরে মাছের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ঘাটতি আছে কিনা তা দেখতে হবে।
  • পুকুরে জাল দেওয়ার পর মাছের ওজন কমে যাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • পুকুরে মাছের প্রয়োজনীয় প্রোবায়োটিক/ভিটামিন ও মিনারেলস প্রতি ৭-১০ দিন পর পর ব্যাবহার করতে হবে।
  • দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক দ্বারা প্রজেক্ট পরিচালনা করতে হবে।
  • মাছের বাজার দর ভালো থাকলে সে সময় মাছ বিক্রি করতে হবে।

লেখক: চেয়ারম্যান, এডভান্স এগ্রোটেক (বিডি) লিমিটেড এবং সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অ্যাকোয়া প্রোডাক্টস কোম্পানীজ এসোসিয়েশন (বাপকা)

This post has already been read 5001 times!

Check Also

কাপ্তাই লেকে কার্পজাতীয় মাছের নতুন প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত

বাকৃবি সংবাদদাতা: কাপ্তাই লেকে কার্পজাতীয় মাছের ৫ম প্রজননক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) …