Monday , June 16 2025

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় কোরবানির সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কোরবানির সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যাতে কোরবানি হয় সে জন্য স্থানীয় সরকার ইউনিটসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মাঠ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করবে। প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে। কোন এলাকায় প্রয়োজন হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত হবে। কোনভাবেই শৃঙ্খলা যাতে ভঙ্গ না হয় সেজন্য যেখানে যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা করা হবে।”

রবিবার (২৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহণ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “কোরবানির পশু পরিবহনে যাতে ফেরিতে বা রাস্তায় যাতে সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হব। পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কে চাঁদাবাজি অথবা ফেরি ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা অথবা অন্য কোনভাবে সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনবোধে প্রতিকূল অবস্থার তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মনিটরিং সেল থাকবে এবং কন্ট্রোল রূম চালু করা হবে। খামারিদের চাহিদার আলোকে সড়ক পথের পাশাপাশি রেলের মাধ্যমে পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে।”

কোরবানির ব্যবস্থাপনা করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “কোরবানি দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থতির ভিতর কেউ না পড়ুক, এটা আমরা চাইবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান করোনা মহামারির মধ্যে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোরবানিসহ অন্যান্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে নিতে। আশা করছি এ বছর কোরবানির ব্যবস্থাপনা অন্যান্য বছরের তুলনায় আরো সুশৃঙ্খল হবে। এবছরও সম্পূর্ণ দেশীয় গবাদিপশু দিয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। দেশে চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত পশু রয়েছে। বিদেশ থেকে গবাদিপশু আমদানির কোন প্রয়োজন নেই। সীমান্ত পথে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে যাতে গবাদিপশু আসতে না পারে নে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষে নেওয়া হবে।”

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিগণ এবং ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারগণ, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণ সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

This post has already been read 4478 times!

Check Also

গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত ব্যবহার: ফিড শিল্পে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সম্ভাবনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত পণ্য হতে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদনের সম্ভাবনা (Potential …