Tuesday , June 17 2025

বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির সংযোজন কারখানা করবে মাহিন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেড বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্রপাতির সংযোজন কারখানা করবে। এছাড়া, প্রান্তিক পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার জনপ্রিয় ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর করতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণ করবে। মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পবন গোয়েঙ্কা মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপির সাথে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন বাড়ছে। কৃষি শ্রমিকেরা কৃষিকাজ থেকে শিল্পসহ অন্যান্য খাতে চলে যাচ্ছে। ফলে শ্রমিকের দাম অনেক বেশি ও কৃষক কৃষিকাজে লাভবান হচ্ছে না। সেজন্য সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার এ বছর ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ৫০-৭০% ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষিযন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। এছাড়াও, ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষিযন্ত্রপাতি দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্রপাতির বাজার বছরে  প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের যা বছরে ১০% হারে বাড়ছে। এ বিশাল বাজারে ভারত বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, মাহিন্দ্র সংযোজন কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও যারা খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে তাদেরকেও যন্ত্রাংশ তৈরির দায়িত্ব প্রদান করবে। যাতে করে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয়। এছাড়া, কৃষি যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি কিনতে পারে না; এটি বিবেচনায় নিয়ে তারা বাংলাদেশের কৃষকদেরকে ঋণ দেয়ার চিন্তাভাবনাও করছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে যান্ত্রিকীকরণে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক। সেজন্য মাহিন্দ্র এখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। আজকে যে সকল বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে তা বাস্তবে রূপ দিতে পারলে যান্ত্রিকীকরণে সাফল্য আসবে এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে তা বিরাট ভূমিকা রাখবে।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ফার্ম ইকুইপমেন্ট সেক্টরের (এফইএস) প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সিক্কা, এফইএস’র সিইও প্রকাশ ওয়াকানকার, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রবিন কুমার দাশসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘কৃষিখাতে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা বিষয়ক ডিজিটাল কনফারেন্সের’ ফলোআপ হিসাবে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

This post has already been read 4208 times!

Check Also

গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত ব্যবহার: ফিড শিল্পে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সম্ভাবনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত পণ্য হতে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদনের সম্ভাবনা (Potential …