Tuesday , June 17 2025

পাঁচ বছরের মধ্যে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করা হবে -কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা সংবাদদাতা: আগামী পাঁচ বছরে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রূপান্তর করা হবে। আগামীতে কৃষির গুরুত্ব আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দেয়া যাবে। কৃষির সার্বিক এই উন্নয়নরে জন্য মিডিয়া অপরিহার্য। মিডিয়া সারা পৃথিবীতে অপরিহার্য। সংবাদে মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক বিধিবর্হিভূত কাজ ও অর্জন গণমাধ্যম তুলে ধরে। কোথায় কি কাজ হচ্ছে তার গঠন মূলক সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক পথে চলতে সহায়তা করে। মিডিয়া বিদেশী বিনিয়োগ, রপ্তানীসহ কৃষকদের কাছে কৃষিবিষয়ক নান তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করে থাকে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে কৃষিভিত্তিক মিডিয়া সংলাপ-২০১৯ -এর বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী ৫ বছরে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করা হবে। সেই সঙ্গে আমরা নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দিতে পারবো। ভূর্তুকির বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার যদি কৃষিতে ভর্তুকি না দিতো তাহলে এতো পরিমান খাদ্য উৎপাদন কখনই সম্ভব হতো না। এবার খাদ্য উৎপাদনের যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিলো তার চেয়ে ১৩ লাখ টন খাদ্য বেশী উৎপাদন হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমা সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কটুক্তি করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সমস্ত আশংকা মিথ্যা প্রমাণ করেছে। বর্তমানে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত আমরা এ কাজও করতে পারবো। তাদের আশংকা আমরা বার বার মিথ্যা প্রমাণ করবো।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান এম.পি ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. শামীম রেজা। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর সদস্য মো. হামিদুর রহমান। পরে এক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইনের সিনিয়র সাংবাদিকগণ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তারা কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবের কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়া তারা নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টি মান, সমন্বিত কৃষি, কৃষির উন্নয়ন, কৃষি পণ্যে রপ্তানীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

 

This post has already been read 4141 times!

Check Also

গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত ব্যবহার: ফিড শিল্পে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সম্ভাবনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত পণ্য হতে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদনের সম্ভাবনা (Potential …