Thursday 28th of March 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / ২০২৩ সনের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার -খাদ্যমন্ত্রী

২০২৩ সনের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার -খাদ্যমন্ত্রী

Published at ডিসেম্বর ৬, ২০২১

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকার কাজ শুরু করেছে।  নভেম্বর মাসে একটি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা ২০২১ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষ নানান রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, অনেকের অকাল মৃত্যুও ঘটে। ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিসহ হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

সাধন মজুমদার বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় আমরা এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুসরণ করে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে সর্বোত্তম নীতি গ্রহণ করেছি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রান্সফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে যাবে।

প্রবিধানমালা যাতে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত জনবলের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর পাশাপাশি  জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল সংক্রান্ত প্রবিধানমালা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জাতীয় অধ্যাপক বিগ্রেডিয়ার (অব.) আব্দুল  মালিক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ  নাজমানারা খানুম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাইউম সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহিন এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবিটর (জিএইচএআই) এর সাউথ এশিয়া রিজিয়নের পরিচালক  বন্দনা শাহ।

This post has already been read 2913 times!