সাভার সংবাদদাতা: “Let’s Celebrate the Power of Dairy” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ১ জুন (রোববার) বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)–এর ডেইরি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৫।
দিবসটি উদযাপনে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিলো এক বর্ণাঢ্য র্যালি, শিশুদের মাঝে দুধ ও দই বিতরণ এবং দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সেমিনার। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বিএলআরআই চত্বরে আয়োজন করা হয় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি। র্যালির নেতৃত্ব দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জনাব মো. ইমাম উদ্দীন কবীর। তার সঙ্গে র্যালিতে অংশ নেন বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। রঙিন টিশার্ট, ক্যাপ ও প্ল্যাকার্ডে সুসজ্জিত র্যালিটি ইনস্টিটিউটের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়।
র্যালি শেষে শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে দুধ ও দই বিতরণ করা হয়। পরে সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. বিপ্লব কুমার রায়, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রাণী উৎপাদন গবেষণা বিভাগ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেইরি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান ড. মো. রাকিবুল হাসান।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিন (পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) এবং জনাব মুহাম্মদ মকবুল হোসেন (মিল্ক ভিটা)। আলোচনায় বক্তারা দুধের পুষ্টিগুণ, দুগ্ধজাত পণ্যের প্রয়োজনীয়তা ও দুধ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা আরও বলেন, দুধ সবার জন্য উপকারী, তবে যাদের দুধে অ্যালার্জি আছে তারা দই বা লাবান খেতে পারেন।
সেমিনারে উপস্থিত প্রধান অতিথি অতিরিক্ত সচিব মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বলেন, “দুধ একটি সুষম ও আদর্শ খাদ্য। এর উপকারিতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে বিএলআরআইকে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।” তিনি দুধে ভেজালের কুফল নিয়েও বক্তব্য দেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক বলেন, “দুধে ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই সুস্বাস্থ্য ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে শিশুদের দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।” পাশাপাশি তিনি অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিরা বিএলআরআই-এর এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।