Thursday 25th of April 2024
Home / অন্যান্য / আগামী ৫০ বছরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

আগামী ৫০ বছরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

Published at মার্চ ১৫, ২০২১

খুলনা উন্নয়ন কমিটির মতবিনিময় সভায়তালুকদার আব্দুল খালেক
ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আগামীর খুলনা কেমন চাই” শীর্ষক মতবিনিময় সভা আজ সোমবার সকালে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান-এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), খুলনা ওয়াসা, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো) লি:, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে আগামী ৫০ বছরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ডিটেল এরিয়াসহ ৫০ বছরের একটি মাষ্টার প্লান তৈরী, অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প ও নিয়ম বহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ, রেল ক্রসিং-এ ফ্লাইওভার নির্মাণ, সপিং কমপ্লেক্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেল-মোটেল, উপাসনালয়, শিশুদের বিনোদনের জন্য নতুন নতুন স্থাপনা তৈরী, রূপসা ব্রীজ থেকে ভৈরব নদীর দুই প্রান্তে রিভার ভিউ পার্ক নির্মাণ, প্রয়োজনীয় মোড়গুলিতে ফুটওভার ব্রীজ তৈরী, খুলনার ঐতিহ্যবাহী নিউ মার্কেটকে বহুতল বিশিষ্ট মার্কেটে রূপান্তর, পরিবেশবান্ধব শিল্প জোন, কৃষি জোন, মৎস্য জোন এবং অর্থনৈতিক জোন নির্ধারণ, রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি নগরীর রাস্তাগুলোকে যতদূর সম্ভব প্রশস্ত করা, নগরীতে বনায়ন, আরো একটি নগর জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ, শহর রক্ষা বাঁধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পুকুরগুলি সংস্কার, খুলনায় স্যুয়ারেজ লাইন সংস্কার/তৈরী করা, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ বাড়ানো, ওয়াসার পানির নতুন সংযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজীকরণ, খান জাহান আলী বিমান বন্দরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, মংলা পোর্টের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ড্রেজিং ব্যবস্থা অব্যহত রাখা, পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ চালু করা, মোংলা পোর্টের অদূরে কন্টেইনার ষ্টেশন স্থাপন, খুলনার বন্ধ সকল মিল কলকারখানা চালু, সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা, ভৈরব-রূপসা ও পশুর নদীর নাব্যতা বাড়াতে নিয়মিত ড্রেজিং-এর ব্যবস্থা, খুলনা-দর্শনা  ডাবল রেললাইন স্থাপন, মুন্সিগঞ্জ-সাতক্ষীরা-যশোর রেললাইন স্থাপন, খুলনা-মোংলা-ভাঙ্গা ও খুলনা-যশোর মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আন্ডার গ্রাউন্ডে স্থাপনের দাবি উত্থাপন করেন।

সিটি মেয়র আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে যে যাত্রা শুরু করেছে, খুলনা তার বাইরে নয়। বরং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন পরিকল্পনা এ অঞ্চলকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। মাওয়ায় পদ্মা সেতু চালু হলে খুলনা অঞ্চল হবে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ একটি জনপদ। পোশাক শিল্পসহ এ অঞ্চলে গড়ে ঊঠবে বিভিন্ন শিল্প কল-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। খুলনা-মোংলা রেল লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে মোংলাপোর্ট এবং মোংলা ইপিজেড-এর গুরুত্ব আরো বাড়বে। সিটি মেয়র মহানগরীর উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের কাজে সমন্বয় সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগামী ৫০ বছরকে সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সিটি মেয়র সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

উন্নয়ন কমিটির মহাসচিব শেখ মোহাম্মাদ আলীর পরিচালনায় কেসিসি’র কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, কেডিএর কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাবিরুল আলম ও উন্নয়ন কমিটির কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মো. মনিরুজ্জামান রহিম।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালাম, কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুবুল ইসলাম, খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ পিইঞ্জ, ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল) মো. শফিক উদ্দিন, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাজমুল হুদা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাফর ইমাম, খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আহাদ, উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ নাজিমুদ্দিন, অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম, স্থপতি এস এম নাজিম উদ্দিন পায়েল, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির মিরু, কুয়েটের অধ্যাপক ড. মোস্তফা সরোয়ার, অধ্যাপক তুষার কান্তি রায়, ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এস হুমায়ুন কবীর, কেসিসি’র মেয়র প্যানেল সদস্য কাউন্সিলর মো. আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মো. আনিসুর রহমান বিশ্বাস, জেড এ মাহমুদ ডন, মো. গোলাম মাওলা শানু,  মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ শামসুদ্দিন আহম্মদ প্রিন্স, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) পলাশ কান্তি বালা, প্রধান প্রকৌশলী মো. এজাজ মোর্শেদ চৌধুরী, কেডিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামীম জেহাদ, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী মো. রায়হান ফরিদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট গৌরাঙ্গ নন্দী, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহম্মেদ মোল্লা, প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম, প্রফেসর ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, আলহাজ্ব শেখ আব্দুল মান্নান, আলহাজ্ব শেখ মোশারফ হোসেন, শাহীন জামাল পন,  এ্যাড. কুদরত-ই খুদা, অধ্যাপক মো. আবুল বাসার, মিজানুর রহমান বাবু, মিনা আজিজুর রহমান, মাস্টার বদিয়ার রহমান, আরজুল ইসলাম আরজু, মামনুরা জাকির খুকুমনি, এ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মীর বরকত আলী, মাস্টার মনিরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন রাজু, মোল্লা মারুফ রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর, রসু আক্তার, রকিব উদ্দিন ফারাজী, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান টিংকু, সৈয়দ এনামুল হাসান ডায়মন্ড, শেখ মুশার্রফ হোসেন, মতলেবুর রহমান মিতুল, মো. খলিলুর রহমান, এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, কামরুল করিম বাবু, মল্লিক মাসুদ করিম, প্রকৌশলী রফিকুল আলম সরদার, ফেরদৌস হোসেন লাবু, রফিকুল ইসলাম বাবু, আকতার উদ্দিন পান্নু, নূরুজ্জামান খান বাচ্চু, মো. হায়দার আলী প্রমূখ।

This post has already been read 2056 times!