Thursday 28th of March 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / ভালো বীজ হলেই ১৫-২০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব

ভালো বীজ হলেই ১৫-২০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব

Published at অক্টোবর ১২, ২০২০

কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : ভালো বীজ হলেই শতকরা ১৫-২০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। ডালে অত্যবশ্যকীয় এমাইনো এসিড থাকে বলে পুষ্টি নিরাপত্তায় ডালের অবস্থান সুউচ্চ।

রবিবার (১১ অক্টোবর) কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরন প্রকল্প (৩য় পর্যায়)(১ম সংশোধিত), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকার অর্থায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের আয়োজনে কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজশাহীর পার্টিপয়েন্ট হলরুমে দিন ব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর -এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কৃষিবিদ কামাল উদ্দিন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,  উত্তম পরাগায়নের জন্য মৌমাছি পালন করতে হবে এতে মধুর চাহিদাও পূরণ হবে। তিনি প্রকল্প হতে মৌবাক্স প্রদান এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদানকে যুগোপযোগী বলে উল্লেখ করেন এবং এই প্রকল্পের কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশ একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

উন্নত মানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়)-এর প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ খায়রুল আলম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ সুধেন্দ্র নাথ রায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক (বাস্তবায়ন) কৃষিবিদ মো. শামসুর রহমান। এছাড়াও অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মো. হাবিবুল হক, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, রাজশাহী অঞ্চল এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শামছুল হক।

সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বীজ হতে হবে মান সম্মত। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই কর্মসূচীর গুরুত্ব অপরিসীম। নিজের বীজ নিজে উৎপাদন, সংরক্ষণ ও অন্যান্য কৃষকদের মাঝে বিতরণে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি প্রকল্পে সুবিধাভোগী কৃষকদের নিয়ে “এসএমই” গঠন এবং এদের টেকসই কর্মকান্ড যেন বজায় থাকে, এ বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আরোও উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ডাল, তৈল ও মসলা বীজ চাষে কৃষক লাভজনক ফসল হিসাবে এর আবাদ সম্প্রসারণ করছে। এছাড়া রাজশাহী অঞ্চলে বীজ সংরক্ষণের জন্য উপযোগী আবহাওয়া বিরাজ করে বিধায় বীজ উৎপানে চাষীদের আরোও এগিয়ে আসার জন্য আহবান করেন। এছাড়া তিনি এসএমই রেজিস্ট্রেশন বিষয়েও বিশদ আলোচনা করেন এবং কৃষকের উৎপাদিত মানসম্মত বীজ অন্য কৃষক ব্যবহার করে লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি, বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র, ইশ্বরদীর ডাল গবেষণা কেন্দ্র এবং প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ নিজ নিজ কর্মকান্ড সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন এবং প্রকল্প সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন। কর্মশালায় কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গসহ প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2617 times!