Thursday 28th of March 2024
Home / তারকা কৃষক / ইবলুল হাসান রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ বীজ উৎপাদনকারী নির্বাচিত

ইবলুল হাসান রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ বীজ উৎপাদনকারী নির্বাচিত

Published at জুন ১৭, ২০২০

কৃষক মো. ইবলুল হাসান।

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : রাজশাহী জেলায় শ্রেষ্ঠ বীজ উৎপাদনকারী কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকন হাট পৌরসভার কৃষক মো. ইবলুল হাসান। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োাজিত কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ডাল তেল ও মসলাজাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন বিতরণ ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তিনি গৌরব অর্জন করেন এবং উপলক্ষে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত ১৪ জুন (রবিবার)  তাঁকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক, কৃষিবিদ মো. শামছুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুধেন্দ্র নাথ রায়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. মনজুরুল হক, অতিরিক্ত উপপরিচালক মোছা. উম্মে সালমা, গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম ।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে ইবলুল হাসানকে পেঁয়াজ, সরিষা, মুগ, তিলসহ বেশ কয়েকটি ফসলের বীজ, সার এবং অন্যান্য উপকরণ সরবাহ করা হয়েছিল। এগুলো উপকরণ ব্যবহার করে কৃষক ইবলুল হাসান নিজে এসব ফসলের বীজ উৎপাদন করেন। পরবর্তীতে সেই বীজ তিনি প্যাকেটজাত করে প্রতিবেশী কৃষকদের মাঝে বিক্রয় করেন। বীজ প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেট করার জন্য তাকে সেলাই মেশিন, বীজ চালুনি, বীজ সংরক্ষণের প্যাকেট কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছিল।

বীজ উৎপাদনে সবসময় কারিগরি সহযোগিতা করেন কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ। এছাড়া বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী কর্তৃক তার উৎপাদিত বীজ পরীক্ষা করে উন্নতমানের বীজ হিসেবে প্রত্যয়ন করা হয়েছে। তিনি গত বছর তার উৎপাদিত উন্নতমানের বীজ বিক্রয় করে তিন লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন।

বক্তারা তাদের নিজ নিজ বক্তব্যে বলেন, ইবলুল হাসানসহ অন্যান্য কৃষক কে বীজ উৎপাদনে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এই প্রযুক্তি কৃষি সম্প্রসারণে কাজে সহায়ক হবে এবং গতি আসবে ফলে কৃষক নতুন প্রযুক্তি তাড়াতাড়ি গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া কৃষি উপকরণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সার, বীজ, কীটনাশক ডিলারদের দৌরাত্ব কমে যাবে, সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং ফসলে রোগ পোকা মাকড় কম হবে। এই পদ্ধতিতে উদ্যোক্তা উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং শ্রমিক খরচ কমে যাবে। এই প্রযুক্তি আরো সম্ভাবনার দিক অগ্রসর হবে এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং সাংবাদিক, গন্যমান্য ব্যক্তি-বর্গ, এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধিসহ ৪০ জন উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 5180 times!