Thursday 25th of April 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ও কৃষকের ন্যায্য মূল্য পেতে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ

পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ও কৃষকের ন্যায্য মূল্য পেতে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ

Published at সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮

পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল গ্রাম থেকে তোলা

মো. মহির উদ্দিন (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, চাটমহর, পাবনা): দুধকে বলা হয় জীবন সঞ্জীবনী সুধা। এক গ্লাস হালকা গরম দুধ পানে ক্ষয়িষ্ণু, অবচেতন দেহমনে চেতনা ফিরে আসে। কিন্তু আমরা তো দুধ পানে অভ্যস্ত নই।

চল্লিশোর্ধ্ব ছলিম মিয়া নিয়ম করে দু ‘বেলা চা খান। এতদিন তারে বললাম – চাচা প্রতিদিন এক কাপ চা কমিয়ে তার বদলে এক কাপ দুধ খাবেন। তিনি বললেন- না বাবা, দুধ খেলে গ্যাস হয় ; গা জ্বালা পুড়া করে।

ছলিম মিয়ার মতো দুধ পানে অনাসক্তি আমাদের অনেকেরই। কারণ, দুধের প্রাপ্যতার পাশাপাশি এ ধরনের অনেক ভুল ধারনাও আছে সমাজে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে একজন মানুষের প্রতিদিন যেখানে ২৫০ মিলি. দুধ খাওয়ার প্রয়োজন বিপরীতে বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্তি ১৫৮.১৯ মিলি.। অর্থাৎ এখনো মাথাপিছু আমাদের ঘাটতি ৯১ .৮১ মিলি.। আমাদের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হলেও বাজারে অন্যান্য দ্রব্যের তুলনায় দুধের দাম কম।

দই, মাঠা মাখন, ঘি, মিষ্টি, পনির ইত্যাদি অসংখ্য পণ্য উৎপাদনের প্রধান কাচামাল দুধ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগতমানসম্পন্ন দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করা হলে দুধ উৎপাদন ও বাজারমূল্য আরো বেড়ে যাবে এবং অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে। দারিদ্র্য হ্রাস ও আত্মকর্মী তৈরির জন্য যে সব সংস্থা কাজ করে তাদের এখানে অনেক সুযোগ আছে।

This post has already been read 3553 times!