Friday 19th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / ৫ শত কোটি টাকার “ঘরে ফেরা” স্কিমের নীতিমালা জারি

৫ শত কোটি টাকার “ঘরে ফেরা” স্কিমের নীতিমালা জারি

Published at জানুয়ারি ৪, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোভিড-১৯ মহামারি ও অন্যান্য কারণে গ্রামে ফিরে যাওয়া জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকার “ঘরে ফেরা”বিষয়ক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন ও পরিচালনার নীতিমালা প্রসঙ্গে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সোমবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক -এর মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হাকিম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়-

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শহরকেন্দ্রক জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ হঠাৎ কর্ম হারিয়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ সকল মানুষের অধিকাংশই এখন গ্রামে অবস্থান করছে এবং একটি মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধার আওতায় এ সকল জনগোষ্ঠীকে আনা একান্ত প্রয়োজন । অন্যথায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সকল জনগোষ্ঠীর জন্য গ্রামেই উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হবে; ফলশ্রুতিতে, সামথিক অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ।

এ প্রেক্ষিতে, গ্রামাঞ্চলে আয়উৎসারী কর্মকাণ্ড অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে প্রয়োজনীয় ঋণ প্রবাহ নিশ্চিত করা আবশ্যক । এ লক্ষ্যে, ইতিপূর্বে গৃহীত বিভিন্ন প্রণোদনামূলক পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ মহামারি ও অন্যান্য কারণে কর্মজীবি/শ্রমজীবি/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ব্যক্তি তাদের স্থ স্ব কর্ম হারানোর কারণে গ্রামে ফিরে যাওয়ার ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে ৫০০.০০ (পাঁচশত) কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উক্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কিম পরিচালনায় নিম্নরূপ নীতিমালা অনুসৃত হবেঃ

১. স্কিমের নামঃ কোভিড-১৯ মহামারি ও অন্যান্য কারণে গ্রামে ফিরে যাওয়া জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে গঠিত “ঘরে ফেরা” বিষয়ক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম।

২. তহবিলের পরিমাণঃ ৫০০.০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা । উক্ত তহবিলের পরিমাণ প্রয়োজনে বৃদ্ধি করা যাবে।

৩. উৎসঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল।

৪. স্কিমের মেয়াদঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যস্ত। তবে গ্রাহক পর্যায় হতে আদায় কার্যক্রম স্কিমের মেয়াদ পরবর্তী সময়েও অব্যাহত থাকবে ।

৫. স্কিমে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহঃ

ক) রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহ।

খ) এছাড়া বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংক সমূহের মধ্যে যে সকল ব্যাংক আলোচ্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারাও কৃষি ঋণ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বরাবর আবেদনপূর্বক উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে ।

৬. তহবিল বরাদ্দঃ

কে) ব্যাংকসমূহের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা, ঋণ বিতরণের সক্ষমতা ইত্যাদির ভিত্তিতে কৃষি ঋণ বিভাগ কর্তৃক ব্যাংকসমূহের অনুকূলে তহবিল বরাদ্দ করা হবে । অংশগ্রহণকারী ব্যাংক কর্তৃক এ স্কিমের আওতায় সময়ে সময়ে ঋণ বিতরণের সক্ষমতা পর্যালোচনান্তে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তীতে প্রয়োজনবোধে বরাদ্দকৃত তহবিলের পরিমাণ পুন্নর্ধারণ করতে পারবে।

(খ) গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের পর পেশকৃত পুনঃঅর্থায়ন দাবী পর্যালোচনাপূর্বক পর্যায়ক্রমে বরাদ্দকৃত তহবিলের সমপরিমাণ অর্থায়ন করা হবে।

৭. গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণঃ

(ক) এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ নিজস্ব নেটওয়ার্ক অর্থ্যাৎ শাখা, উপশাখা, এজেন্ট, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ ও আদায় করতে পারবে । এতদ্যতীত, প্রয়োজনবোধে আউটসোর্সিং ফেসিলিটেটর (শাখা প্রতি একজন) নিয়োগ করতঃ তাদের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ মঞ্জুরীর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণসহ ঋণ আদায় কার্যক্রমে ফেসিলিটেটর এর সহায়তা গ্রহণ করতে পারবে । তবে, এ ঋণ প্রদান কার্যক্রমে এনজিও, ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান (MFI) বা অনুরূপ অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে ফেসিলিটেটর এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে না।

(খে) ১০ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখিত খাতসমূহে সর্বোচ্চ ০৫ লক্ষ টাকা পর্যস্ত ঋণ বিতরণ করতে পারবে ।

(গ) অত্র স্কিমের আওতায় ঋণ গ্রহণকারী খেলাপী না হলে ঋণ পরিশোধের পর পুনরায় নতুন ঋণ গ্রহণ করতে পারবে ।

(ঘ) এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণ কোনভাবেই গ্রাহকের পুরাতন ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।

সুদ/মুনাফা হার

(ক) এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক হতে নির্ধারিত ০.৫% সুদ/মুনাফা হারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে।

(খে) গ্রাহক পর্যায়ে সুদ/মুনাফা হার হবে সর্বোচ্চ ৬% (সরল সুদ হারে)। উক্ত সুদ/মুনাফা হার সকল গ্রাহকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

৯. জামানতঃ এ স্কিমের আওতায় ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন নিরাপত্তা জামানত গ্রহণ করা যাবে না।

১০.ঋণের খাতসমূহঃ

  • স্বল্প পুঁজির স্থানীয় ব্যবসা;
  • পরিবহন খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারী যানবাহন ক্রয়;
  • ক্ষুদ্র প্রকৌশল শিল্প;
  • মৎস্য চাষ, গরু, ছাগল, হাস-মুরগী পালন;
  • তথ্যপ্রযুক্তি সেবা কেন্দ্র ও অন্যান্য সেবা উৎসারী কর্মকান্ড;
  • বসতঘর নির্মাণ/সংস্কার
  • সবজি ও ফলের বাগান;
  • কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ফসল বিপণন।

এছাড়াও, গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার করে এমন কর্মকাণ্ড যেমন ছোট ছোট ব্যবসা, বিশেষ করে ধান ভাঙ্গানো, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এমন ক্ষেত্রে অত্র স্কিমের আওতায় ঋণ প্রদান করা যাবে। সরকারি সংস্থাসমূহ হতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে ।

১১,নারী উদ্যোক্তাঃ

অত্র স্কিমের আওতায় বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে নারী ঋণ গ্রহিতা/উদ্যোক্তাদেরকে ন্যুনতম ১০% ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করতে হবে।

১২. গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের মেয়াদঃ

ক) ঋণের পরিমাণ ২.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্তঃ ০৩ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ২ বছর বা ২৪ মাস।

খ) ঋণের পরিমাণ ২.০০ লক্ষ টাকার বেশি তবে ৫.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ০৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৩ বছর বা ৩৬ মাস।

১৩.পুনঃঅর্থায়ন আবেদন পদ্ধতি

(ক) গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ শুরু করার পর অংশগ্রহণকারী ব্যাংক কর্তৃক মাসিক ভিত্তিতে (শর্তযুক্ত ছক মোতাবেক) পুনঃঅর্থায়ন দাবী করতে হবে ।

(খে) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় তথ্য/কাগজপত্রসহ মহাব্যবস্থাপক, কৃষি ঋণ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এর নিকট পুনঃঅর্থায়ন দাবি করবেঃ

– প্রকৃত বিতরণ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রঃ

– বিতরণকৃত ঋণের সমন্বিত বিবরণী (বিতরণকারী গ্রাহকের নাম ও মোবাইল নম্বর সহ);

– ঋণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতিপত্র (ডিপি নোট) ও লেটার অব কন্টিনিউটিঃ

– সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য।

১৪.শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক

ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকসমূহ নিজস্ব শরীয়াহ নীতিমালা অনুসরণ করে উক্ত স্কিমের আওতায় বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে ।

১৫. পরিশোধ পদ্ধতিঃ

(ক) ব্যাংক প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগ গ্রাহক পর্যায় হতে সম্পূর্ণ আদায় হওয়ার পরবর্তী ০১(এক) মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সুদ/মুনাফাসহ পরিশোধ করতে হবে; যা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তহবিলের মেয়াদ পর্যন্ত আবর্তনযোগ্য হবে।

(খে) গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণ/বিনিয়োগের আদায়ের সকল দায়-দায়িতু ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত থাকবে। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ আদায়ের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওনাকে সম্পর্কিত করা যাবে না।

(গ) স্কিমের আওতায় প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগের অর্থ বা এর কোন অংশের সদ্যবহার হয়নি মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সে পরিমাণ অর্থের ওপর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ২% হারে জরিমানা ধার্য্পূর্বক এককালীন আদায় করা হবে।

(ঘ) গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণ/বিনিয়োগের বিপরীতে ৬% এর অতিরিক্ত সুদ/মুনাফা ধার্য্যপূর্বক ব্যাংক কর্তৃক স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সে পরিমাণ অর্থের উপর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ১% হারে জরিমানা আরোপ করতঃ এককালীন আদায় করা হবে।

১৬, রিপোর্টিং ও মনিটরিংঃ

(ক) স্কিমের আওতায় বিতরণকৃত প্রতিটি ঋণ/বিনিয়োগের জন্য পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।

(খে) বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অর্থায়ন প্রাপ্তির পর নিবিড় মনিটরিং এর লক্ষ্যে ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণের পুঞ্জিভূত বিবরণী (সংযুক্ত ছক মোতাবেক) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগে পাক্ষিক ভিত্তিতে (পক্ষ সমাপনান্তে ০৭ কর্মদিবসের মধ্যে) দাখিল করতে হবে;

(গ) গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সদ্ধ্যবহার নিশ্চিতকল্পে ব্যাংকের নিজস্ব সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা এবং মনিটরিং পদ্ধতি থাকতে হবে যা অংশগ্রহণ চুক্তি সম্পাদনকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় সরেজমিনে পরিদর্শন এবং তথ্যাদি যাচাইয়ের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ/বিনিয়োগের সদ্ধবহার যাচাই এবং মূল্যায়ন করা হবে।

১৭. তহবিল ব্যবস্থাপনাঃ এ তহবিল সামগ্রিক তদারকি/পরিচালনা/ব্যবস্থাপনার কাজ বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয় এর কৃষি ঋণ বিভাগ কর্তৃক সম্পাদিত হবে এবং এ লক্ষ্যে কৃষি ঋণ বিভাগ প্রয়োজনীয় শর্ত/বিধি অনুসরণের নির্দেশনা প্রদান করতে পারবে ।

১৮. ফোকাল পার্সন নির্বাচনঃ এ স্কীমে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ একজন ফোকাল পার্সন (নুন্যতম এজিএম বা সম-পদমর্যাদার) নির্বাচন করবে যিনি স্কীম সংক্রান্ত সকল বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

১৯.অন্যান্য শর্তাবলীঃ

(ক) বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হতে তহবিলের প্রাপ্যতা সীমা বিবেচনা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ করবে এবং ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করবে;

(খ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত এবং বর্তমানে অনুসৃত কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালাসহ অন্যান্য নীতিমালা যেমন- আবেদনপত্র গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল, ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতার যোগ্যতা নিরূপন, ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ, ঋণ /বিনিয়োগের সদ্ব্যবহার, তদারকি ও আদায় প্রক্রিয়া যথারীতি অনুসৃত হবে;

(গ) উপরোক্ত পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাহিদার প্রেক্ষিতে ব্যাংক প্রয়োজনীয় তথ্য, কাগজপত্র এবং দলিলাদির কপি বাংলাদেশ ব্যাংককে সরবরাহ করবে। পুনঃঅর্থায়ন সংক্রান্ত উল্লিখিত নীতিমালার শর্তাদির বিষয়ে সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সংযোজন, বিয়োজন ও পরিমার্জন করতে পারবে।

উপরোক্ত নীতিমালা ও শর্তাদি অনুসরণপূর্বক এ পুনঃঅর্থায়ন ক্ষিমে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যাংকসমূহকে এ সার্কুলার জারির পরবর্তী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে অত্র বিভাগের সহিত যোগাযোগের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয় নির্দেশনায়।

This post has already been read 3452 times!