Thursday 18th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / সিলেটের অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে ‘টিম গঠনের’ নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

সিলেটের অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে ‘টিম গঠনের’ নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

Published at ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১

সিলেট: উপকূলীয় ও সিলেট এলাকায় এখনও যেসব জমি অনাবাদি রয়েছে- তা চিহ্নিতকরে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়-সে ব্যাপারে দ্রুত ‘টিম গঠন’ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শাকসবজি, আলু, ভুট্টা, গমসহ ফলমূলের উৎপাদনও অনেক বেড়েছে। কিন্তু মানুষ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বলতে চালকেই বুঝে। সেজন্য, চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও উপকূলীয় এলাকায় এখনও অনেক অনাবাদি পতিত জমি আছে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে কত জমি অনাবাদি আছে, তার কতটুকু চাষের আওতায় আনা যায়-তা স্টাডি করে দেখতে হবে। সেখানে সেচের পানির অভাব রয়েছে। তবে ভূউপরিস্থ পানির জন্য কয়েকটা নদী রয়েছে। পাম্প ব্যবহার করে নদীর পানি কীভাবে সেচের জন্য কাজে লাগানো যায় তা স্টাডি করে বের করতে হবে। যাতে করে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। মন্ত্রী এসময় সিলেট এলাকার অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য দ্রুত ‘টিম গঠন’ করার নির্দেশ প্রদান করেন।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন, শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে রুটিন কাজকর্ম করলে চলবে না। মাঠ পর্যায়ের কাজে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সবসময় সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। মাঠের অবস্থা, উৎপাদনের পাশাপাশি বাজারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। উৎপাদন বাজারে কী প্রভাব ফেলতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। প্রকল্পের কাজে তাঁদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম এসময় বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীলের ক্ষেত্রে শুধু উৎপাদনের পরিসংখ্যান দেখলে হবে না। এর সাথে দেশে চালের চাহিদার দিকটিও বিবেচনায় নিতে হবে। দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে, করোনাকালে অনেক প্রবাসী ফিরে এসেছেন; তাছাড়া চাল প্রাণিখাদ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৩৬%। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ২৮.৪৫%। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2347 times!