Thursday 28th of March 2024
Home / সংগঠন ও কর্পোরেট সংবাদ / সাধনার মাধ্যমে সফলতা আনতে হয় – এনাম ফিড মিলের দ্বিতীয় প্লান্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনামুল হক মোল্লা

সাধনার মাধ্যমে সফলতা আনতে হয় – এনাম ফিড মিলের দ্বিতীয় প্লান্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনামুল হক মোল্লা

Published at জানুয়ারি ৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমার আজকের অবস্থানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হইনি আমি। জীবনে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে সততার সঙ্গে। ঝুঁকি নিতে হবে। সফলতা কখনো একা একা আসে না। সাধনার মাধ্যমে তাকে আনতে হয়।

উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন দেশের পোলট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে স্বনামধন্য কোম্পানি এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস লিমিটেড –এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক মোল্লা।  শনিবার ( ২ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে এনাম ফিড মিলের দ্বিতীয় প্লান্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (প্রাণিস্বাস্থ্য ও প্রশাসন) -এর পরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এলআরআই ঢাকার ডা. নকীব উল্লা সিদ্দিকী, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম উকিল উদ্দিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির এক যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে কারখানা প্রাঙ্গণে পাঁচশতাধিক দরিদ্র, অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখছেন এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস লিমিটেড –এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক মোল্লা এনাম।

এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস লিমিটেড –এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক মোল্লা এনাম জানান, আজ থেকে ২৪ বছর আগের কথা। বাবার কাছে ১০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর গয়না বিক্রি করার পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখা থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়ে বাড়ির উঠোনে ৩০০ লেয়ার মুরগির বাচ্চা কিনে লালন পালন করেন। বছর দুয়েক যাওয়ার পরেই এ থেকে লাভের মুখ দেখেন। সেই লাভের টাকা ও কিছু ঋণ নিয়ে আরও লেয়ার মুরগির বাচ্চা কেনেন। এভাবে একপর্যায়ে বাচ্চার খাদ্য উৎপাদনও শুরু করেন। তার সুনাম এলাকা থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে খামারীরা তার কাছ থেকে মুরগির বাচ্চা কিনতে আসেন। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, এক সময় এদেশের অনেক পরিবারের মানুষ একটি ডিমকে চারটি ভাগ করে খেতে হতো। মুরগি রান্না হতো জামাই কিংবা বিশেষ কোন মেহমানের আগমন উপলক্ষ্যে। কিন্তু বর্তমানে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র লোকটিও একটি ডিম ও মুরগি খেতে পারেন। এটি সম্ভব হয়েছে দেশের পোলট্রি সেক্টরের বিকাশের কারণে। দেশে মানুষের আমিষ চাহিদার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পোলট্রি শিল্প। আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে আমরা এখন স্বপ্ন দেখছি রপ্তানির। এসবই সম্ভব হয়েছে এদেশের খামারিদের জন্য, এনাম সাহেবদের মতো উদ্যোক্তাদের জন্য।

এছাড়া মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমির হামজা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আসমত আলী আরিফ, গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাড. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, মাওনা ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলেক শিকদার, কারখানার পরিচালক ওয়াজেদ আহমেদ অনিক, ওয়াকিল আহমেদ অপুসহ আরো অনেকে  উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 4155 times!