Friday 29th of March 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে – বাণিজ্যমন্ত্রী

বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে – বাণিজ্যমন্ত্রী

Published at অক্টোবর ১৭, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, মুজিব বর্ষ এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ যৌথ ভাবে “বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট সামিট-২০২১” এর আয়োজন করতে যাচ্ছে। সামিটে বাংলাদেশের অর্জন, বাংলাদেশে ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট পলিসি, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সম্ভাবনা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশ প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের অর্থনীতি এখন একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। এর ফলে অনেক বাণিজ্য সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। তখন জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা পাবার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একসময় নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতায়  বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ’র মতো চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন চমৎকা বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশের প্রায় ৯৭ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে, প্রায় ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় এসেছে, বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২,২২৭ মার্কিন ডলার। জিডিপি গ্রোথ ৮ ভাগ, কোবিড-১৯ পরিস্থিতিতেও তা ৫.৪৭ ভাগ ছিল। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাণিজ্যমন্ত্রী রবিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকায় ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ(ডিসিসিআই) এর সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ডিসিসিআই যৌথ ভাবে আয়োজিত “বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট সামিট-২০২১” উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ডিসিসিআই যৌথ ভাবে আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ০১ নভেম্বর, ২০২১ তারিখ সপ্তাহব্যাপী “বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট সামিট-২০২১” অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ২৬ অক্টোবর ভার্চুয়ালি এ সামিটের উদ্বোধন করবেন। আমন্ত্রীত অতিথিবৃন্দ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, শেরে বাংলা নগর থেকে যুক্ত থাকবেন।  এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি অধিকতর মক্তিশালিকরণ, এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সামিটে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নীতিনির্ধারক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের সফল ব্যবসায়ী, দেশী-বিদেশী শীর্ষস্থানীয়  বিনিয়োগকারী, বাণিজ্য ব্লিশ্লেষক, অর্থনীতিবীদ, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশ্বের ৩৮ টি দেশের ২৭১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ৫৫২টি প্রতিষ্ঠান সামিটে অংশ গ্রহণ করবে। ৭ দিনব্যাপী সামিটে শিল্প ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ৬টি বিষয়ভিত্তিক সশন এর পাশাপাশি ৪৫০টি বিটুবি সেশন  অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, অবকাঠামো, আইটি, লেদার গুডস, ফার্মাসিটিকেলস, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, এ্যাগ্রো এন্ড ফুড প্রসেসিং, প্লাস্টিক প্রোডাক্টস, জুট এবং টেক্সটাইলস, এফএমসিজি এন্ড রিটেইল বিজনেস এ ৯টি

সম্ভাবনাময় খাতকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য দেশি-বিদেশী শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের নিকট তুলে ধরা হবে।

ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট রেজওয়ান রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বক্তব্য রাখেন।

This post has already been read 1999 times!