Tuesday 16th of April 2024
Home / মৎস্য / বটম ক্লিন পদ্ধতিতে মাছ চাষে যেসব কারণে লাভ-ক্ষতি হয়

বটম ক্লিন পদ্ধতিতে মাছ চাষে যেসব কারণে লাভ-ক্ষতি হয়

Published at আগস্ট ২, ২০২১

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান: বটম ক্লিন পদ্ধতিতে মাছ চাষে যেসব ভুল ও সুব্যবস্থাপনার কারণে প্র্রজেক্টে ক্ষতি ও লাভ বয়ে আনে সেগুলো নিম্নে দেয়া হলো-

যে সমস্ত ব্যবস্থাপনায় প্রজেক্ট ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়:

  • পুকুর বা ঘেরের পানির ও মাটির পরিবেশ ঠিক আছে কিনা তার দিকে নজর না দেয়া।
  • মাছ চাষের জন্য মাটি ও পানির pH ঠিক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ না করা।
  • পুকুরের তলদেশে গ্যাসের আধিক্য আছে কিনা তা নিয়মিত না করা।
  • পুকুরের মাছের ওজন অনুপাতে খাদ্য না দিয়ে অতিরিক্ত বা কম খাদ্য প্রয়োগ করা।
  • পুকুরের আয়তন সাপেক্ষে মাছ না দিয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা।
  • প্রোটিনযুক্ত খাবার প্রয়োগ করতে না পারা।
  • প্রাকৃতিক খাদ্যের আবির্ভাব কম পরিমানে থাকলে।
  • মাছের ভাইরাস সমস্যার সম্মুখীন হলে অথবা গ্যাসীয় সমস্যার আগে প্রোবায়োটিক প্রয়োগ না করা।
  • মাছের সাইজ একই রকম না হলে।
  • বাজার দর যখন ভালো থাকে সে সময় মাছ বিক্রি না করতে পারলে।
  • দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক দ্বারা প্রজেক্ট পরিচালনা না করলে।

যে সমস্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ/ব্যবস্থাপনায় প্রজেক্ট লাভবান হয়

  • পানি ও মাটির পরিবেশ ঠিক রাখলে।
  • পানি ও মাটির pH স্বাভাবিক বা আদর্শ মাত্রায় রাখতে হবে।
  • পুকুরের তলদেশের বিভিন্ন রকম গ্যাসের আধিক্য বাড়তে না দেওয়া (এমোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস, মিথেন, ইথেন ইত্যাদি।
  • মাছ চাষে মাছের ঘনত্ব ঠিক রাখতে হবে।
  • মাছের ওজন অনুপাতে খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে।
  • প্রোটিনের পরিমাণ মাছের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক আছে এমন খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে যা মাছের খাদ্য রুপান্তর হার (FCR) ঠিক রাখে।
  • প্রাকৃতিক খাদ্যের আবির্ভাব কেমন আছে তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • প্রতি ৭-১০ দিন পর পর মাছের ওজন দিতে হবে যা থেকে মাছের FCR নির্ণয় করা যায়।
  • কিছু দিন পর পর মাছের গায়ে স্লেশ্মা/বিজল আছে কিনা তা দেখতে হবে।
  • মাছের গায়ে ক্ষত বা অন্য কোন দাগ আছে কিনা তা দেখতে হবে।
  • পুকুরে মাছের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ঘাটতি আছে কিনা তা দেখতে হবে।
  • পুকুরে জাল দেওয়ার পর মাছের ওজন কমে যাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • পুকুরে মাছের প্রয়োজনীয় প্রোবায়োটিক/ভিটামিন ও মিনারেলস প্রতি ৭-১০ দিন পর পর ব্যাবহার করতে হবে।
  • দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক দ্বারা প্রজেক্ট পরিচালনা করতে হবে।
  • মাছের বাজার দর ভালো থাকলে সে সময় মাছ বিক্রি করতে হবে।

লেখক: চেয়ারম্যান, এডভান্স এগ্রোটেক (বিডি) লিমিটেড এবং সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অ্যাকোয়া প্রোডাক্টস কোম্পানীজ এসোসিয়েশন (বাপকা)

This post has already been read 2646 times!