Thursday 25th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / প্রাণিজ খাতের আমদানিকৃত কাঁচামাল ছাড়করণে টানা ১৫ দিন বাধাগ্রস্তের আশংকা: পিআরটিসি টেস্ট কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন চায় আহকাব

প্রাণিজ খাতের আমদানিকৃত কাঁচামাল ছাড়করণে টানা ১৫ দিন বাধাগ্রস্তের আশংকা: পিআরটিসি টেস্ট কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন চায় আহকাব

Published at মে ৩, ২০২১

প্রতীকি ছবি।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: পবিত্র শব-ই-কদর এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রাণিজ খাতের আমদানিকৃত কাঁচামাল তথা অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিপণ্য এবং ওষুধ সামগ্রী ছাড়করণে টানা ১৫দিন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে দেশের প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব)। রবিবার (২ মে) সংগঠনটির সভাপতি ডা. এম নজরুল ইসলাম এবং মহাসচিব মোহাম্মদ আফতাব আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ ব্যাপারে সুরাহার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি পিআরটিসি কর্তৃপক্ষ পবিত্র শব-ই-কদর এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগামী ৭ থেবে ১৭ মে পর্যন্ত সর্বমোট ১১ দিন ল্যাব টেস্টের জন্য কোন নমুনা সংগ্রহ করবেনা মর্মে অবহিত নোটিশ জারির পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত চিঠি দেয় আহকাব।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রাণীজ খাতের আমদানিকৃত পণ্য সামগ্রীর সিংহভাগইচট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়ে থাকে। আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ এর বিধান মোতাবেক আমদানীকৃত পণ্য সামগ্রী চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছার পর তা বাধ্যতামূলকভাবে পিআরটিসি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ারপর উক্ত পণ্য সামগ্রী শুল্কায়নও ছাড় করা হয়। সম্প্রতি পিআরটিসি কর্তৃপক্ষ পবিত্র শব-ই-কদর এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগামী ৭ মে ২০২১ ইং তারিখ হতে ১৭ মে ২০২১ইং পর্যন্ত সর্বমোট ১১ দিন ল্যাব টেস্টের জন্য কোন নমুনা সংগ্রহ করবেনা মর্মে অবহিত করা হয়েছে। পিআরটিসি আগামী ১৮ মে ২০২১ইং হতে ল্যাব টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করবে যার টেস্ট রিপোর্ট পেতে আরও ২/৩ দিনের প্রয়োজন হবে।

চিঠিতে বলা হয়- সর্বোপরি এটা প্রতিয়মান যে, আগামী ৯ মে ২০২১ইং হতে কম/বেশী ১৫ দিন চট্টগ্রাম বন্দর হতে প্রাণীজ খাতের কোন পণ্য ছাড় করণের কোন সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় আমদানীকারকগণ উক্ত সময়সীমায় বন্দরে আগত পণ্য সামগ্রীর অনুকুলে বিপুল অংকের ডেমারেজ পরিশোধ করতে বাধ্য হবে এবং একি সাথে প্রাণীজ খাতের অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিপণ্য ও ঔষধ সামগ্রীর সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হবে যার প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই দেশের প্রাণীজ খাত ও ভোক্তাদের ওপর পড়বে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের প্রাণীজ খাত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতের সিংহভার্গক্রমইকাযআমদানী নির্ভর। এই খাতটি অবশ্যই একটি জরুরী সেবা খাত।১৫ দিনের জন্য এ ধরণের একটি সেবা খাতের কার্যক্রমকে বন্ধ রাখা কোন অবস্থাতেই কাম্য হতে পারেনা। কভিড-১৯ সংক্রমন জনিত কারণে সরকারী ছুটি/লক ডাউনের সময়কালেও এ খাতের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সুস্পস্ট নির্দেশনা রয়েছে।

এমতাবস্থায়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এ্যানিমেল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পিআরটিসি এর টেস্ট কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা অথবা অন্য কোন সুবিধাজনক ল্যাবেআমদানীকৃত পণ্য সামগ্রী টেস্ট করারপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে উক্ত চিঠিতে।

This post has already been read 2910 times!