Friday 29th of March 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / পানির অভাবে মতলব উত্তরে ফসলহীন ২৫০ একর জমি

পানির অভাবে মতলব উত্তরে ফসলহীন ২৫০ একর জমি

Published at জানুয়ারি ১৩, ২০২১

ছবি: মাহফুজুর রহমান।

মাহফুজুর রহমান, চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তরে প্রায় ২৫০ একরেরও বেশি কৃষিজমিতে পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারছে না কৃষকরা। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ প্রায় ১ যুগ ধরে খাল ও কেনেল নিষ্কাশন না হওয়ায় তীব্র ভোগান্তি পোহাচ্ছে গ্রামবাসী।

দখল-দূষণে ভরপুর খাল আর অরক্ষিত বর্জ্যপূর্ণ কেনেল নিষ্কাশন সহ এলাকার ফসলি জমিতে পানির ব্যবস্থাকরণের দাবিতে গত সোমবার উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের মুন্সীরকান্দি বিলে এবং চৌরাস্তা সড়কে কয়েক দফায় মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসীরা। একই দাবী জানিয়েছেন জহিরাবাদ ইউনিয়নের নেদামদী বিলের বারেক বকাউল, তৌফিক উদ্দিন সহ কৃষকরা।

‘জমিতে পানি আসেনা, কৃষকের মাথায় হাত’ ‘পানি নাই, পানি চাই’ ড্রেন নাই, ড্রেন চাই’ ‘কৃষক বাঁচান, দেশ বাঁচান’ ‘দখলমুক্ত খাল চাই’ বর্জ্যমুক্ত খাল চাই’ এমন সব দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে শ্লোগানের মাধ্যমে এসময় কৃষকরা তাদের দাবি তুলে ধরেন।

গ্রামবাসী ও কৃষকরা জানান, ‘ক্ষমতার পালাবদল হলেও প্রতিশ্রুতির বানী ছাড়া আমরা কিছু পাচ্ছি না। প্রায় ২৫০ একরেরও বেশি ফসলি জমির সুবিধার্থে শিকারিকান্দি শেখ বাড়ির মোড় থেকে- মুন্সীরকান্দি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলো ড্রেন চেয়েছিলাম কিন্তু অজানা কারণে ড্রেনটি অন্য পথে দেওয়া হয়। বর্তমানে এই অরক্ষিত ড্রেনের কোন সুবিধাই আমরা কৃষক ভাইরা পাচ্ছি না। এমন ভরা ইরি মৌসুমেও পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারছি না। দূর থেকে পানি ব্যবস্থা ব্যয়বহুল হওয়ায় জমিগুলো ফসল বাদে পড়ে থাকে বছরের পর বছর। তাই শিকারিকান্দি শেখ বাড়ির মোড় থেকে- মুন্সীরকান্দির শেষ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলো ড্রেনেজ ব্যবস্থা চাই। আমরা জমিতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে চাই। আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে। এসময় তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানি ব্যবস্থাপণা ফেডারেশন ও কৃষি অফিসের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন।

তারা আরো জানান, ‘ কালীপুর পাম্প হাউজ থেকে মতলব পর্যন্ত গ্রামঘেষা লবাইরকান্দি দাশের বাজারের খালটি দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা, ট্রলার যাতায়াত করতো। এই খালের থই থই পানিতে গ্রামবাসীর প্রাণ জুড়াতো। আর আজ অবৈধ দখলদার আর স্বেচ্ছাচারিতায় বর্জ্য-দূষনে খালটি মৃতপ্রায়। খালের পরিবেশ দূষনের কারণে উটকো দূর্গন্ধের পাশাপাশি এলাকায় বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। বর্তমানে বিলীনের পথে খালটি অচিরেই নিষ্কাশন করার জন্য আমরা কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

This post has already been read 2706 times!