Friday 29th of March 2024
Home / চা শিল্প / দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হবে জাতীয় চা দিবস

দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হবে জাতীয় চা দিবস

Published at জুন ২, ২০২১

দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হবে জাতীয় চা দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তাঁর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখ ৪ জুনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিক কে বিবেচনায় নিয়ে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ২০ জুলাই ২০২০ তারিখ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।  এদিন বঙ্গবন্ধু  চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সে মোতাবেক আগামী ৪ জুন ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধন করা হবে এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দিনব্যাপী  চা প্রদর্শন করা হবে। চা প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (০২ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত জুম প্লাটফর্মে প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। দেশে চায়ের উৎপান অনেক বেড়েছে, একই সাথে অভ্যন্তরিন চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চা তেমন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। একসময় চা খেতে মানুষকে  উদ্বুদ্ধ করা হলেও আজ গ্রামের মানুষও চা পান করতে অভ্যস্ত। ফলে চায়ের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭০ সালে যেখানে চায়ের উৎপাদন ছিল মাত্র ৩১.৩৮ মিলিয়ন কেজি, সেখানে ২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ  ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি এবং ২০২০ সালে ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। ২০২০ সালে ১৯টি দেশে ২.১৯ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১৯৯৬ সাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। দিন দিন সেখানে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার সেখানে চা উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে। চা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চা’র বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং বিডা আয়োজিত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ইনভেষ্টমেন্ট সামিট শীর্ষক জুম প্লাটফর্ম আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন।

 

This post has already been read 2809 times!