Wednesday 24th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / ৬৪ জেলায় সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে হবে

৬৪ জেলায় সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে হবে

Published at সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন মানুষ বাড়ছে, জমি কমছে। বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য যোগান দিতে হলে নতুন জাত, ভালো বীজ এবং উন্নত প্রযুক্তি দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। ফলন বাড়াতে সমলয়ে চাষাবাদ এখন সময়ের দাবী। এজন্য ৬৪ জেলায় সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে হবে। এজন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার সেটি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে করা হবে।

তিনি বলেন, ব্রি-ডিএই অঞ্চলভিত্তিক কর্মশালাগুলো অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ব্রির ন্যায় বারি, বিনা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উচিত অন্য ফসল প্রযুক্তি নিয়েও অঞ্চলভিত্তিক কর্মশালা আয়োজন করা।

এতে বিএডিসি-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের লিংকেজ আরো জোরদার হবে।

আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় “ ঢাকা অঞ্চলের বর্তমান রোপা আমন আবাদ পরিস্থিতি এবং আগামী বোরো ও রবি মওসুমের প্রস্তুতি” বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।

কৃষি সচিব বলেন, হাইব্রিড জাতের আবাদ বাড়াতে হবে। এখন হাইব্রিড ধানের আবাদ এলাকা মাত্র ১০ লাখ হেক্টর। এটিকে ১২ লাখ হেক্টরে উন্নীত করা কঠিন কাজ নয়। ভবিষ্যতে এটি আরো বাড়াতে হবে। মাঠ পর্যায়ে বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করবে কৃষি মন্ত্রণালয়। বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য এ অঞ্চলের পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

তিনি দেশের প্রতিটি উপজেলায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান সৃজনের জন্য সরকারি সহযোগিতার অর্থ সুষ্ঠ ব্যবহারের জন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। সরকারি প্রণোদনা, পুর্নবাসন, ক্ষতিপূরণের অর্থ সঠিকভাবে কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য তিনি গ্রুপ ভিত্তিক পর্যায়ক্রম পদ্ধতি অনুসরনের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, করোনাকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেভাবে সম্মূখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে তাতে সকলের কাছে এই মন্ত্রণালয়ের সম্মান ও গ্রহনযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কৃতিত্ব আমাদের সকলের, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের সম্প্রসারণ কর্মীদের।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন – ড. তমাল লতা আদিত্য, পরিচালক (গবেষণা), ব্রি। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ), কৃষি মন্ত্রণালয়, বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ), কৃষি মন্ত্রণালয়, এবং কৃষিবিদ ড. মো. আসাদুল্লাহ, পরিচালক (সরেজমিন উইং), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. কৃষ্ণ পদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ব্রি।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ড. মো. হুমায়ুন কবীর, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান, ফলিত গবেষণা বিভাগ, ব্রি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঢাকা অঞ্চল।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানগণ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালকগণ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালকগণ, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।

This post has already been read 2221 times!