Wednesday 24th of April 2024
Home / পরিবেশ ও জলবায়ু / ময়ূর নদী হবে গ্রীণ সিটির মূল কেন্দ্র: সিটি মেয়র

ময়ূর নদী হবে গ্রীণ সিটির মূল কেন্দ্র: সিটি মেয়র

Published at মার্চ ১১, ২০১৯

প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে যে কোনো মূল্যে ময়ূর নদী এবং তৎসংলগ্ন খালসমূহ সচল রাখতে হবে। এ জন্য নদী ও খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খুলনাকে গ্রীণ সিটি করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এই গ্রীণ সিটি ময়ূর নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে তোলা হবে। রবিবার (১০ মার্চ) সকালে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘‘ওয়াটার এ্যাজ লেভারেজ খুলনা’’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত ৩য় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এসব কথা বলেন।

সিটি মেয়র জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে রূপসা ও ভৈরব নদী নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ নদী দু’টি প্রতিনিয়ত ভরাট হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের সময় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে প্রকল্প প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে নেদারল্যান্ডস সরকারের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিডিআর ইন্টারন্যাশনাল-এর অর্থায়নে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবেলায় সংস্থাটি খুলনা মহানগরীসহ দক্ষিণ এশিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি শহরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কেসিসি’র সচিব মো. আজমুল হক-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ হেনক অভিন্ক ও খুলনা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ পিইঞ্জি। কেসিসি’র প্যানেল মেয়র মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না, মো. আলী আকবর টিপু, মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলীসহ কেসিসি’র কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিদেশী বিশেষজ্ঞ, কেসিসি, কেডিএ, খুলনা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এনজিও কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

 

This post has already been read 1685 times!