Friday 19th of April 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / ভয়াবহ প্রস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ডায়েট

ভয়াবহ প্রস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ডায়েট

Published at আগস্ট ৩১, ২০১৭

‘ক্যান্সার মানেই আতঙ্ক, ক্যান্সার মানেই মৃত্যু’ এমনটাই অনেকের ধারণা। ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরণও আছে যেমন- ব্লাড ক্যান্সার, ফুসফুসে ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো- প্রস্টেট ক্যান্সার। কিছু সাবধানতা ও সচেতন হলেই এই ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকা যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল -এর ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট এবং ইজি ডায়েট বিডি লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালট্যান্ট দেশের স্বনামধন্য পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকা।

আয়শা সিদ্দিকা, পুষ্টিবিদ

আয়শা সিদ্দিকা, পুষ্টিবিদ

ওবেসিটি, তামাকজাত দ্রব্যের নেশা, হাই-ফ্যাটযুক্ত খাবার ও বংশপরম্পরায় প্রস্টেটের সমস্যা দেখা যেতে পারে। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের জন্য উপযুক্ত ডায়েটই হতে পরে বহু রোগ থেকে মুক্তির চাবিকাঠি। উপযুক্ত ডায়েট, টমেটো, অর্গানিক কফি, সবুজ শাকসবজি খাওয়া ও ধূমপান না করলে প্রস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।

মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এই মরণঘাতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের পর প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।easy diet01

প্রস্টেট ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকার ৫টি উপায়….

১.স্যামন মাছ: যারা প্রতি সপ্তাহে একাধিকবার স্যামন মাছ খান তাদের প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬৩ শতাংশ কম। তবে যারা এই মাছ পছন্দ করেন না তারা এর বিকল্প হিসেবে স্যামন মাছের তেল দিয়ে তৈরি ওমেগা-৩ ক্যাপসুল খেতে পারেন।

২. ব্রকোলি ও অনান্য সবজি: প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় শাকসবজি। ব্রকোলি, ফুলকপি ও সবুজ শাক-লতাপাতা প্রস্টেট ক্যান্সার থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

৩.পলিফেনলযুক্ত পানীয়: প্রস্টেট ক্যান্সার থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে দারুণ উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলের মতো অরগ্যানিক উপাদান থাকা পানি বা জল। টমেটোর রস, গ্রিন টি, ঔষুধি চা, আঙুরের রস, বীট-পালংয়ে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ পলিফেনল।

৪. আখরোট ও বেদানা:  প্রস্টেট ক্যান্সার থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে দারুণ উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলের মতো অর্গানিক উপাদান থাকা পানি বা জল। প্রস্টেট ক্যান্সার থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে মাংস, দুধ কমিয়ে বেদানা ও আখরোট বেশি করে খেতে হবে। এতে যে উদ্ভিদ উপাদান রয়েছে, তা প্রস্টেট টিউমার বড় হতে দেয় না।

৫. ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার: যাদের কোলেস্টোরলের মাত্রা ২২ মিলি গ্রামের নীচে তাদের প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ কম। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে কোলেস্টোরলের মাত্রা কমানো যায়।

পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারকে বলে প্রস্টেট ক্যান্সার। শুধুমাত্র পুরুষদেরই প্রস্টেট গ্রন্থি রয়েছে। এর আকার অনেকটা কাজুবাদামের সমান।

উল্লেখ্য: মুত্রথলির নিচ থেকে যেখানে মুত্রনালী বের হয়েছে সেটির চারপাশ জুড়ে এই গ্রন্থিটি বিদ্যমান। এর মধ্য দিয়েই মুত্র এবং বীর্য প্রবাহিত হয়। কোনো পুরুষ যদি এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তাহলে প্রসব ও যৌনমিলনে বীর্যপাতের সময় প্রচণ্ড কষ্ট পান।

This post has already been read 4267 times!