Saturday 20th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / ভুট্টা আমাদের পোল্ট্রি শিল্পের প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় -কৃষিমন্ত্রী

ভুট্টা আমাদের পোল্ট্রি শিল্পের প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় -কৃষিমন্ত্রী

Published at জুলাই ১৬, ২০১৯

ঢাকা সংবাদদাতা: বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ দেশ। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক সর্বোপরি কৃষকবৃন্দের পরিশ্রমের ফসল আজ কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশ স্থান দখল করে আছে। আমাদের প্রধান ফসল ধান হলেও দেশে এখন গম ও ভুট্টা চাষ হচ্ছে। ভুট্টা আমাদের পোল্ট্রি শিল্পের প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর বড় একটি অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমাদের লক্ষ্য আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনা। বিভিন্ন ধরনের ফলের প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে বাংলাদেশে। আন্তর্জাতিক বাজারের অভাবে বিক্রি করতে পারছেনা কৃষরা। স্থানীয় বাজারেও এগুলোর দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম।

সোমবার (১৫জুলাই) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়  আর্জেন্টিনার কৃষি ও শিল্প সচিব Mr. Louis Miguel Etchevehere –এর সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন। বেশ সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের কৃষি ও অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। কৃষিমন্ত্রী প্রথমেই আর্জেন্টিনার সচিব ও তার সফর সঙ্গীদের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। আমরা নিরাপদ জিএমও শস্যে সফল হয়েছি। বিশেষ করে বিটি বেগুন। এছাড়া বিটি তুলা, গোল্ডেন চাল উদ্ভাবন করেছে। আমরা অধিক লাভজনক শস্য উৎপাদনের দিকে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আধুনিক কৃষির জন্য খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণ এবং যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। মোট কথা আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষির জন্য বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণের যা যা করা দরকার সরকার সব করবে।

আর্জেন্টিনার সচিব Mr. Louis বলেন, বাংলাদেশ অনেক সুন্দর ও সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশে সবচেয়ে কমদাম গরুর গোস্ত। আর্জেন্টিনা অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে। দেশটির মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৭ কোটি ২ লাখ হেক্টর, রপ্তানি আয় প্রায় ৭০-৯৫% । কৃষিতে জিডিপি ৫%। ৪১টি পণ্য রপ্তানি করে করছে। ১৯৯৬ সাল হতে বাণিজ্যিকভাবে জিএমও শস্য আবাদ করে থাকে। জিএমও শস্যে আর্জেটিনার অবস্থান তৃতীয়। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের কৃষি খাতে পুর্ণ সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এছাড়া কারিগরি, গবেষণাসহ সবক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের আম, পেপে বেশ সুস্বাদু বলে উল্লেখ করেন আর্জেন্টিার সচিব।

আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত Daniel Chuburu, এগ্রো-ইন্ডাট্রিয়াল মার্কেট এর যুগ্মসচিব Jesus Sylveira, Tobias De Marcos, Gustavo Idigoras President Argentine Chamber of the Oil Industry & Grain Exporters(CIARA-CEC) ও উপদেষ্টা Mariano Beheran এবং Tobias de Marcos. বাংলাদেশের পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব আ. রউফ, আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ, আরিফুর রহমান অপুসহ সংস্থার প্রধানগণ।

বৈঠক শেষে অতিথিদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি নৈশ ভোজে অংশগ্রহণ করেন। নৈশ ভোজে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এম,পি, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2337 times!