Thursday 28th of March 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / ভাসমান কৃষি জলমগ্ন এলাকার জন্য আর্শীবাদ

ভাসমান কৃষি জলমগ্ন এলাকার জন্য আর্শীবাদ

Published at আগস্ট ৩১, ২০২০

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ভাসমান কৃষি জলমগ্ন এলাকার জন্য আর্শীবাদ। পানির কারণে যেখানে বছরের অধিকাংশ সময় স্বাভাবিকভাবে ফসলের আবাদ অনুপযোগী। সেখানে ভাসমান বেডে সারাবছর শস্য উৎপাদন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি তাদের জীবনমান হবে উন্নত।

রবিবার (৩০ আগস্ট) বরিশালের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দু’দিনের উদ্বুদ্ধকরণ সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভাসমানের পুরোনো ঐতিহ্যকে ধরে রেখে এখানে বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগাতে হবে। তাহলেই কৃষিকে আরো এগিয়ে নেওয়া যাবে।

ভাসমান কৃষিতে বঙ্গবন্ধু কৃষিপদক (স্বর্ণ) পাওয়া গোপালগঞ্জের কৃষক শক্তি কৃত্তনিয়া জানান, তার ৩২টি ভাসমান বেড রয়েছে। এসব স্থানে লাউ, শশা, করলা, ঝিঙ্গা, বরবটি, লালশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক, ঢেঁড়শসহ অন্যান্য শাকসবজি এবং হলুদের আবাদ চলমান আছে। তিনি সারাবছরই ফসল চাষ করেন। তিনি বলেন, এবার অতিবৃষ্টি এবং বন্যা হওয়া সত্ত্বেও ভাসমান বেডের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাই বাজারমূল্য ভালো পেয়েছেন। লাভও হয়েছে বেশি।

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিমুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনওয়ারুল মোনিম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান, এসও মো. রাশেদুল ইসলাম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাজিউদ্দিন, এসও অঞ্জন কুমার দাস, মো. মাহবুবুর রহমান, শর্মিলা দাস সেতু, স্মৃতি হাসনা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কৃষি বিজ্ঞানী, ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক সহকারি, বৈজ্ঞানিক সহকারি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারিসহ ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রথম দিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং দ্বিতীয় দিন মাদারীপুরের রাজৈরের ভাসমান কৃষি পরিদর্শন করা হয়। যেখানে চারদিকে অথৈ জল আর বাহারি ফসল। এ যেন পানির উপর শস্যখনি।এ ধরনের দৃশ্য দেখে উপস্থিত দর্শকের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার সৃষ্টি হয়।

This post has already been read 1492 times!