Tuesday 16th of April 2024
Home / সোনালী আঁশ / বাংলাদেশের পাট পণ্যের বড় ক্রেতা তুরষ্ক

বাংলাদেশের পাট পণ্যের বড় ক্রেতা তুরষ্ক

Published at নভেম্বর ১৬, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পাট  পণ্যের বড় ক্রেতা তুরষ্ক, গত বছরও দুইশত মিলিয়নের বেশি মূল্যের পাট পণ্য তুরষ্কে রপ্তানি করা হয়েছে। বাণিজ্য জটিলতার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তৈরী পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে, ফলে রপ্তানিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমস্যা চিহ্যিত করে, আলোচনার মাধমে তা সমাধান করা হলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব।  এ মহুর্তে বাংলাদেশ তুরষ্কে ৪৫৩.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ২৩৩.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি আজ (সোমবার, ১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত তুরষ্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান এ সাথে মতবিমিয়ের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশ ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ সরকার আকর্ষনীয় সুেিযাগ-সুবিধা প্রদান করছেন বিনিয়োগকারিদের। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তুরষ্কের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের, বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাণিজ্যের পরিমান খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশ বেশি রপ্তানি করে তুরষ্কে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির  জন্য বেশ কিছু দেশের সাথে বাংলাদেশ এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তুরষ্কের সাথেও বাংলাদেশের জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন রয়েছে। এ কমিশনকেও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আইসিটি, ঔষধ এবং তৈরী পোশাক খাতে বিনিয়োগ করলে তুরষ্ক লাভবান হবে।

তুরষ্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরান বলেন, তুরষ্ক বাংলাদেশের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। তুরষ্ক বাংলাদেশের পাট পণ্যের একনম্বর ক্রেতা। তৈরী পোশাকও তুরষ্ক বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে, এর ডিজাইন নিয়েও তুরষ্ক কাজ করতে আগ্রহী। ঔষধ আমদানির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ঔষধ শিল্পের মেশিনারিজ তুরষ্ক সরবরাহ করতে পারে। কিভাবে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করতে চায় তুরষ্ক। তুরষ্ক বাংলাদেশের সাথে জয়েন্টভেঞ্চারেও কাজ করতে আগ্রহী । এন্টিডাম্পিং প্রত্যাহার এবং তৈরী পোশাক রপ্তারি ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমোনোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কোভিড-১৯ সফল ভাবে মোকাবেলার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শহিদুল ইসলামসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 3747 times!