Friday 19th of April 2024
Home / পরিবেশ ও জলবায়ু / ফণির প্রভাবে খুলনার কয়রায় ৮ কিমি. বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে ৪ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

ফণির প্রভাবে খুলনার কয়রায় ৮ কিমি. বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে ৪ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

Published at মে ৪, ২০১৯

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে নদ নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে । আর এই পানি স্রোতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ৪ শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্থ হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। শনিবার দুপুরের জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের তিনটি স্থানে ছাপিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ওইসব স্থানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় লোকজন মেরামতের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার যারা স্থানীয় ১১৬টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা শনিবার দুপুরের পর থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে তাদের অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান করছেন।

কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পিআইও, কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূণিঝড় ফণির কারণে গত তিন দিনে (বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার) উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৪৩৩ টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্থ হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪০০ কাঁচা ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কিছু স্থানে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় চিংড়ি ঘেরের কোন ক্ষতি হয়নি। ফণির প্রভাবে স্থানীয় নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ৮ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়রা সদর ইউনিয়নের হরিণখোলা, ঘাটাখালি, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাববুনিয়া, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও দক্ষিনবেদকাশি ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা ও চরামুখা এলাকা। এসব এলাকায় বাঁধ উপচে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। ঘাটাখালি গ্রামের আত্তাব শেখ বলেন, ‘ঝড়ে ঘরবাড়ি ও গাছগাছালির ক্ষতি হলিও ঘেরের মাছ ভাল আছে ভেবে কিছুটা স্বস্তিতে আছি। তবে বাঁন্ধের যে অবস্থা তাতে কখন কি হইয়ে যায় বুঝতি পারতিছি নে। মাটিয়াভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের

সদস্য গাজী বেলাল হোসেন জানিয়েছেন, গ্রামের বেশিরভাগ লোকের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। তারা সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান করছেন। তবে স্থানীয়দের কথা ফনির আতঙ্ক কেটে গেলেও পাউবোর বেড়িবাধ ভাঙ্গন আতঙ্ক এখনও কাটেনি। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা জানিয়েছেন,  ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য কিছু সহযোগীতা করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত সহযোগীতা করা হবে।

This post has already been read 3538 times!