Thursday 18th of April 2024
Home / ফসল / পেঁপের জাত উন্নয়ন ভাবনা

পেঁপের জাত উন্নয়ন ভাবনা

Published at নভেম্বর ১১, ২০১৭

ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া : বাংলাদেশে সারা বছর পাওয়া যায় তেমন একটি সবজি হলো পেঁপে। কী শীত কী গ্রীষ্ম সব সময়ই বাজারে এখন কাঁচা পেঁপে পাওয়া যায়। সবজি হিসেবে গুণে মানে বেশ উত্তম সবজি এটি। তাছাড়া এ সবজি তুলনামূলকভাবে বেশিদিন গৃহে সংরক্ষণ করা যায়। এককভাবে সবজি হিসেবে, সালাদে কিংবা মাছ মাংসের সাথে তরকারি হিসেবে পেঁপে ব্যবহার করা যায়। আর পাকা পেঁপেতো একটি উত্তম ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। এর চমৎকার হলুদ বর্ণ আর পেলব মাংসল দেহ লোভনীয় ফল হিসেবে আমাদের কাছে সমাদৃত। একাধারে উত্তম সবজি ও উত্তম ফল হিসেবে ব্যবহৃত হয় তেমন সবজি কিন্তু এই একটিই। কলা সবজি ও ফল হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও একই জাত বা একই প্রজাতি এ দু’টি কাজে ব্যবহৃত হয় না। অথচ আমাদের দেশে এহেন পেঁপের উন্নয়ন কাজ সেভাবে শুরুই হয়নি। ফলে কাক্সিক্ষত মানের ও কাক্সিক্ষত আকৃতির মনোহরা রূপ গুণ বিশিষ্ট পেঁপের চাহিদা কিন্তু আমাদের রয়েছে।

সবজি বলি আর ফল বলি পেঁপের ব্যবহার দু’ভাবেই হয়ে থাকে। পেঁপের ক্যালরি মান কম তবে এটি উদ্ভিজ্জ পুষ্টি, খনিজ দ্রব্য এবং ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস। পেঁপে সহজে হজমযোগ্য একটি সবজি বা ফল যাতে ভালো পরিমাণ সহজে পরিপাকযোগ্য ও ভক্ষণযোগ্য খাদ্য আঁশ রয়েছে। তাজা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা প্রতি ১০০ গ্রাম পেঁপেতে প্রায় ৬১.৮ মি.গ্রা.। এটি ভিটামিন-এ এর উত্তম উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পেঁপেতে ১০৯৪ আইইউ ভিটামিন এ রয়েছে, রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, লিউটিয়েন, জিয়া-জ্যানথিন, ক্রিপ্টোজ্যানথিন ইত্যাদি ফ্ল্যাভোনয়েডস্ও। পেঁপেতে রয়েছে দেহের অত্যাবশ্যক বি-কমপ্লেক্সের বেশ কয়েকটি ভিটামিন, যেমন: ফলিক এসিড, পাইরিভোক্সিন, রিবোফ্ল্যাভিন এবং থায়োমিন। তাজা পেঁপেতে রয়েছে ভালো পরিমাণ পটাসিয়াম (প্রতি ১০০ গ্রামে ২৫৭ মি.গ্রা.) এবং ক্যালসিয়াম।

পেঁপে আমাদের দেশি সবজি বা ফল নয়। সূদুর মধ্য আমেরিকাতে এর আদি নিবাস। উষ্ণমণ্ডলীয় এবং অব-উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে পেঁপে ভালোই জন্মে। আমাদের দেশে বাজারে পেঁপের উপস্থিতি একে আমাদের প্রিয় সবজি বা ফলের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে সেই কবে থেকেই। আমাদের দেশে স্থানীয় এবং বিদেশি জাতের পেঁপে রয়েছে। আগের দিনে প্রায় প্রতি বাড়িতেই এক বা একাধিক পেঁপে গাছের উপস্থিতি লক্ষ করা যেত। বসতবাড়ির আশপাশে বহুবর্ষজীবী গাছের আধিক্যের কারণে পেঁপে গাছের সংখ্যা খানিকটা কমেছে। তবে এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপের আবাদ করা হচ্ছে। আবাদ করা অধিকাংশ পেঁপে জাতের বীজ বিদেশ থেকে আনা। এদের অনেকগুলোই এখন হাইব্রিড জাতের। একবার অনেকগুলো ফল দিয়েই এদের জীবনকাল শেষ হয়ে যায়। আমাদের স্থানীয় জাতগুলোর ফলন কম হলেও এরা দু’তিন বছর পর্যন্ত অল্প অল্প পেঁপে দিয়ে থাকে। বাণিজ্যিক আবাদের জন্য এরা খুব গ্রহণযোগ্য নয়।

এ রকম যে গুরুত্বপূর্ণ পেঁপে তা নিয়েও খুব একট গবেষণা এদেশে হয়েছে তা বলা যাবে না। এখনো যে এদেশে সঠিকভাবে পেঁপের জাত উন্নয়ন গবেষণা চলছে সেটিও বলা যাবে না। পেঁপের গবেষণা আমাদের দেশে সেভাবে না এগুবার একাধিক কারণ রয়েছে। সবজি বা ফল গবেষণায় সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ব্রিডারদের অপ্রতুলতা এবং গবেষণায় অংশগ্রহণের কাঠামোগত সুযোগ না থাকায় সত্যিকার অর্থে গবেষণা চলছে অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে। দ্বিতীয়ত, পেঁপের লিঙ্গ রূপ এক রকম নয়। এরা যেমন উভলিঙ্গি হতে পারে আবার তেমনি একলিঙ্গিকও হতে পারে। আবার একই গাছে উভলিঙ্গি ও একলিঙ্গিক ফুলও থাকতে পারে। এ কারণে পেঁপের লিঙ্গরূপতা এবং এর বংশগতির খবর ভালো করে না জানলে পেঁপে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। অসম্ভব জাত সৃষ্টির পর এর রক্ষণাবেক্ষণও। পর-পরাগী স্বভাবের কারণে অন্য গাছের পরাগরেণু গ্রহণ করে এর বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলবার সুযোগ এ ফসলে অত্যন্ত বেশি। তৃতীয়ত, বিদেশ থেকে পেঁপের বীজ কিনে এনে এদেশে চাষিদের কাছে বিক্রি করতে পারছে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো। এর মাধ্যমে নানা আকৃতির মুক্তপরাগীজাত বা হাইব্রিড পেঁপে জাতের বীজ চলে যাচ্ছে কৃষকের হাতে। আপাতদৃষ্টিতে সে কারণে অনেক সবজির মতো পেঁপের জাত উন্নয়ন না করেই পাড় পেয়ে যাচ্ছেন সবজি বিজ্ঞানীরা।

পেঁপের লিঙ্গরূপতা নিয়ে খানিকটা আলোচনা এখন করাই যায়। পেঁপেতে লিঙ্গরূপের ওপর ভিত্তি করে যেমন নানা রকম ফুল হয়ে থাকে আবার লিঙ্গরূপতার ওপর ভিত্তি করে পেঁপে গাছও নানা রকম হয়ে থাকে। প্রথম বরং ফুলের ধরন নিয়ে আলোচনা করা যাক। পেঁপের ফুল হলো তিন রকম ১. স্ত্রী ফুল- স্ত্রী ফুল তুলনামূলকভাবে বড় এবং গোড়ার দিকে গোলাকার। এদের শুধু স্ত্রীকেশর রয়েছে কিন্তু পুংকেশর নয়। ফল ধারণ করতে হলে বাইরে থেকে এদের পরাগরেণু গ্রহণ করতেই হবে। বাতাসে বা কীটপতঙ্গের মাধ্যমে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ড বাহিত হয়। ২. পুরুষ ফুল- এরা কৃশকায় এবং নলাকার। এদের পুরুষ স্ত্রী উভয় জননাঙ্গই থাকে তবে স্ত্রী জননাঙ্গ ক্ষুদ্র এবং অকেজো গর্ভাশয়টি অকার্যকর থাকে। পুরুষ ফুল সাধারণত লম্বা বোঁটায় ঝুলে থাকে। ৩. উভলিঙ্গি ফুল- আকার আকৃতিতে এরা স্ত্রী ও পুরুষ ফুলের মাঝামাঝি। এদের পুংকেশর ও স্ত্রীকেশর দু’টোই রয়েছে। ফলে এরা নিজেরা নিজের পরাগায়ন সম্পন্ন করতে পারে।

ফুলের ধরনের ওপর ভিত্তি করে পেঁপে গাছও তিন রকম। স্ত্রী, উভলিঙ্গি এবং পুরুষ। স্ত্রী গাছে সর্বদাই স্ত্রী ফুল হয়। পুরুষ গাছের অনেক লম্বা বোঁটায় ফোটে থাকে অনেক ফুল। সাধারণত এরা ফল উৎপাদন করে না। উভলিঙ্গি গাছে পুরুষ ফুল, উভলিঙ্গি ফুল বা উভয়টিই থাকতে পারে। এদের লিঙ্গরূপতা খানিকটা পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল। উষ্ণ, শুষ্ক আবহাওয়া কখনো কখনো এদের গর্ভাশয়কে লুকিয়ে রাখতে পারে ফলে এটি কার্যত পুরুষ ফুল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। সে কারণে কখনো কখনো পেঁপের মাঠে ফল ধরার ক্ষেত্রে বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে। উভলিঙ্গি গাছের পুরুষ ফুলগুলোর বোঁটা শুধু একলিঙ্গিক পুরুষ ফুল গাছের বোঁটা থেকে খাটো।

গাছের লিঙ্গরূপতার ওপর নির্ভর করে গাছে কিভাবে ফল তৈরি হবে তা। একই গাছে পুরুষ ও স্ত্রী জননাঙ্গ থাকলে স্ব-পরাগায়ন করেই ফল তৈরি হয়। স্ত্রী গাছে অবশ্যই পুরুষ গাছ থেকে পরাগরেণু এসে পড়লে তবেই ফল উৎপন্ন হবে। তবে পরাগায়ন ছাড়াও কখনো কখনো ফল হতে পারে স্ত্রী ফুলে। পেঁপের জাত উন্নয়ন করতে গেলে আরেকটি বিষয়ও জানা অতি জরুরি। কোন ধরনের ফুলের সাথে কোন ধরনের ফুলের সংকরায়ণ করা হলে কি রকমের সন্তান তৈরি হবে সেটি জানতেই হবে যা নিম্নরূপ-

– স্ত্রী ফুলকে পুরুষ ফুল দ্বারা পরাগায়ন করা হলে সন্তানে পুরুষ এবং স্ত্রী গাছ পাওয়া যাবে সমান সমান।

– স্ত্রী ফুলকে উভলিঙ্গি ফুল দ্বারা পরাগায়ন করা হলেও সন্তানে স্ত্রী ও উভলিঙ্গি গাছ পাওয়া যাবে সমান সমান।

– উভলিঙ্গি ফুলকে স্ব-পরাগায়ন করা হলে যেসব সন্তান পাওয়া যায় এদের অনুপাত হয় একটি স্ত্রী ও দুইটি উভলিঙ্গি গাছ।

– উভলিঙ্গি ফুলকে উভলিঙ্গি ফুল দ্বারা পর-পরাগায়ন করা হলেও সন্তানে স্ত্রী ও উভলিঙ্গি গাছের অনুপাত হবে ১:২।

– উভলিঙ্গি ফুলকে পুরুষ ফুল দ্বারা পরাগায়ন করা হলে স্ত্রী, পুরুষ এবং উভলিঙ্গি সন্তান পাওয়া যাবে সমান সংখ্যায়।

– মনে রাখতে হবে দুই, তিন এবং চার নম্বর সংকরায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সংখ্যক ফল বহনকারী পেঁপে গাছ পাওয়া যাবে।

– পেঁপের জাত সৃষ্টি এবং পেঁপের জাতের রক্ষা করা দু’টোই কঠিন বিষয়। পেঁপের জাত উন্নয়ন এবং এদের জাত সুরক্ষা দু’ভাবে করা যেতে পারে

ভিন্নবাসী পেঁপের জাত
স্ত্রী ফুল এক গাছে তো পুরুষ ফুল অন্য গাছে। এরকম জাতে স্ত্রী ফুলে পুরুষ ফুলের পরাগরেণু এসে সংস্থাপিত হতে হয়। ফলে স্ত্রী ফুল গাছ এবং পুরুষ ফুল গাছ দু’টোই উন্নত হলে এবং বিশুদ্ধ প্রকৃতির হলে জাতটি উন্নত হয়। আবার জাত সংরক্ষণের জন্য দু’রকমের গাছেরই বিশুদ্ধতা রক্ষা করতে হয়। একই জাতের পেঁপের গাছগুলোর ফল ধারণে যেন সমরূপতা আসে সে কারণে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত গাছ যাদের কা-ের বর্ণ, বোঁটার বর্ণ, পুষ্পায়নকালীন উচ্চতা এক রকম এদের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত সংকরায়ন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত বলতে একই ফল থেকে প্রাপ্ত সন্তানের মধ্য থেকে পুরুষ ও স্ত্রী গাছ বাছাই করার কথা বোঝানো হয়েছে। এরকম সংকরায়নের ফলে প্রাপ্ত গাছগুলোর মধ্য থেকে কাক্সিক্ষত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত এবং স্ত্রী গাছ বাছাই করে আবার এদের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত সংকরায়ন করা হয়। এভাবে কয়েক বংশধর নিয়ন্ত্রিত সংকরায়ন এবং নির্বাচন পরিচালনা করা হলে জাতের গাছগুলোর মধ্যে সমরূপতা আসে এবং কয়েক বছর জাতের বৈশিষ্ট্য সুরক্ষা করা সম্ভব হয়।

স্ত্রী ভিন্নবাসী জাত
এসব জাত উভলিঙ্গি প্রকৃতির। এদের সুবিধা এই যে, প্রতিটি গাছই উৎপাদনশীল। পুরুষ গাছের জন্য জমি নষ্ট করার প্রয়োজন হয় না। এ রকম জাতের জন্য পরিবেশ সংবেদনশীল উভলিঙ্গি গাছ বাছাই করা হয়। একই গাছের পুরুষ ফুল দিয়ে ঐ গাছের স্ত্রী ফুলকে পরাগায়িত করা হয়। এরকম নিয়ন্ত্রিত পরাগায়ন চালানো যায় ৩-৪ বংশধর পর্যন্ত। আর কাক্সিক্ষত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছ বাছাই করতে হয়। তাহলেই সমরূপ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জাত পাওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশে ১৯৯০ সনের আগ পর্যন্ত উদ্যানতাত্ত্বিক কিছু গবেষণা যেমন: এক হেক্টর জমিতে কতটি পেঁপে গাছ লাগানো যায়, এর জন্য কি কি খাদ্য প্রদান করা দরকার, পেঁপের রোগবালাই দমন ব্যবস্থাপনা এবং কিছু জাত উন্নয়ন কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পরিচালিত হয়। এরপর অবশ্য কয়েক বছরের জন্য বিএআরআই-এর বিজ্ঞানীগণ পেঁপের জাত উন্নয়নের দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন রকম পেঁপের কৌলিসম্পদ সংগ্রহ ও বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করে। সংগৃহীত কিছু পেঁপে জাত মাঠ পরীক্ষাগারে জন্মানোর পর এদের অভিযোজন পরীক্ষা করা হয় এবং তা থেকে একটি জাতকে ‘শাহী’ জাত হিসেবে নামকরণ করে আবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়। এটি এদেশে বাছাই করা অবমুক্ত একটি জাত। এর একটি ফলের গড় পড়তা ওজন ছিল ৬৪০ গ্রাম আর প্রতি গাছের গড় ফলন ছিল ৩৮ কেজি। জানা মতে, বিএআরআই কর্তৃক অবমুক্ত এটি একমাত্র পেঁপের জাত। দিনে দিনে এ জাতটির গুণাগুণ অনেকখানিই নষ্ট হয়ে গেছে। পর-পরাগী স্বভাব আর নিয়ন্ত্রিতভাবে জাত সংরক্ষণ কর্মকান্ড এর অভাবে এটি এখন আর কোনো জনপ্রিয় জাত নয়।

বাংলাদেশের কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এখন আর জোরদার কোনো পেঁপে জাত উন্নয়ন কার্যক্রম চালু নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পেঁপের জাত উন্নয়ন গবেষণা চলেছে গত এক দশক ধরে। এখানকার গবেষকগণ পেঁপের হাইব্রিড জাত সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। পেঁপের ভিন্নবাসী, স্ত্রী-ভিন্নবাসী বা হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন এবং এদের জাত সুরক্ষা করার যথেষ্ট সুযোগ আমাদের রয়েছে। এর জন্য নিবিড়ভাবে পেঁপের গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পেঁপের আগামী দিনের চাহিদা মেটাতে হলে পেঁপে উন্নয়ন কার্যক্রমের কোনো বিকল্প নেই।

This post has already been read 4046 times!