Thursday 25th of April 2024
Home / সাক্ষাৎকার / নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে -মো. সায়েদুল হক খাঁন

নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে -মো. সায়েদুল হক খাঁন

Published at মার্চ ৯, ২০১৮

মো. সায়েদুল হক খাঁন । খাঁন এগ্রো ফিড প্রোডাক্ট ছাড়াও আরো ৫টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাংলাদেশের পোলট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে একজন সুপরিচিত মুখ। দেশের ফিড তৈরির অন্যতম কাঁচামাল আমদানিকারক। সম্প্রতি নিরাপদ খাদ্য ও কোম্পানির কার্যকলাপ সম্পর্কে আলাপ হয় তাঁর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এগ্রিনিউজ২৪.কম -এর সম্পাদক ও সিইও মো. খোরশেদ আলম জুয়েল। পাঠকদের উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো-

এগ্রিনিউজ২৪.কম: মিট অ্যান্ড বোন মিল আমদানি বিষয়ে এক ধরনের জটিলতা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমান পরিস্থিতি কী?

মো. সায়েদুল হক খাঁন : জ্বী মাঝের কিছুটা সময়, প্রায় এক-দেড় বছর আমরা বোভাইন মিট অ্যান্ড বোন মিল (Meat & Bone Meal) এর ছাড়পত্র (NOC) না পাওয়াতে আমরা পণ্যটি আমদানি করতে পারিনি। আসলে বোভাইন আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার যে নিয়ম কানুন চালু করেছে, মন্ত্রণালয় থেকে যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে বা যে সব শর্ত আরোপ করেছে আমরা কিন্তু আগে থেকেই এইসব নিয়ম কানুন মেনে পণ্য আমদানি করছিলাম। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে  প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ব্রাজিলের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: বোভাইন মিট অ্যান্ড বোন মিল বিষয়টি আসলে কী? পাঠকদের উদ্দেশ্যে পরিস্কার করে বুঝিয়ে বলবেন একটু?

মো. সায়েদুল হক খাঁন : ১০০% হালালভাবে গরু জবাই করে মানুষ খাওয়ার জন্য মাংস নেয়ার পর বাকী যে উচ্ছিষ্ট বা Wastage থাকে সেগুলো দিয়ে যে মিট অ্যান্ড বোন মিল প্রস্তুত করা হয় সেটিই আসলে বোভাইন।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: আপনি জানেন যে, সরকার এবং জনগণ নিরাপদ খাদ্য প্রসঙ্গে আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ ও সচেতন। খাদ্যে ভেজাল কিংবা হেভি মেটাল বর্তমানে একটি আলোচিত বিষয়। এক্ষেত্রে উল্লেখিত বোভাইন মিট অ্যান্ড বোন মিল কতটুকু নিরাপদ?

মো. সায়েদুল হক খাঁন : প্রথমত আমি বলবো, শুধু সরকার না জনগণ এ ব্যাপারে আরো বেশি সচেতন। আমরা কিন্তু কখনোই ইউরোপ থেকে মিট অ্যান্ড বোন মিল আমদানি করতাম না। কারণ ইউরোপ থেকে সেটি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার বহু আগেই এবং বর্তমানে কার্যকরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা আরো বেশি শক্তিশালী এবং পরিচ্ছন্ন। সরকার এখন নিয়ম করেছে পণ্যের বস্তার গায়ে আমদানিকৃত দেশের নাম, অরিজিন, ওজন, উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে। এছাড়াও বন্দর পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় রয়েছে। এ অবস্থায় ভেজাল কিংবা অনিরাপদ এসব পণ্য আমদানির করার প্রশ্নই উঠে না বা সেটা সম্ভবও না। সুতরাং সর্বসাধারণকে আমরা এ বিষয়টিতে আশ্বস্ত করতে চাই।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: আপনার কোম্পানির স্লোগান ‘Feed Safe. Food Safe. Food Safe, Life Safe’. এ ব্যাপারে একটু বলবেন?

মো. সায়েদুল হক খাঁন : যখন থেকে আমি এই এগ্রো সেক্টরে বিজনেসে আসছি, যখন আমি ফুডের কাঁচামাল নিয়ে কাজ করা শুরু করেছি তখন থেকেই আমার এই শ্লোগান। আমি মনে করি, আমার একা সচেতন হলে চলবে না। আমিতো সতেচন হবোই সাথে সাথে আরো মানুষকে সতেচন হতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং আমি সেটা করে যাচ্ছি। মোটকথা, আমাদের প্রত্যেককে তার নিজ নিজ দায়িত্ববোধ এর জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।

আমার প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে এই শ্লোগানটা থাকবেই। কারণ, আমাদের কাঁচামাল নিরাপদ না হলে মাছ-মাংস নিরাপদ হবেনা, মাংছ-মাংস নিরাপদ না হলে টেবিল নিরাপদ হবেনা আর টেবিল নিরাপদ না হলে জীবন নিরাপদ হবেনা।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: আপনি কতদিন ধরে এ ব্যবসার সাথে জড়িত এবং উল্লেখযোগ্য অর্জন কী??

মো. সায়েদুল হক খাঁন : দীর্ঘ ২৩ বছর যাবৎ আমি আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সাথে জড়িত। আমি সবসময় কোয়ালিটি প্রোডাক্ট ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট করি। কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড থেকে ৮৪ টার দেশের মধ্যে আমি পুরষ্কার পেয়েছি শুধু কোয়ালিটি প্রোডাক্ট এর জন্য। আমাদের কোম্পানীর পেছনের ইতিহাসটাই এমন।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মো. সায়েদুল হক খাঁন : আপনাকেও ধন্যবাদ।

This post has already been read 4890 times!