Thursday 28th of March 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / ধান-চাল ক্রয়ে গতি বাড়ানোর তাগিদ খাদ্যমন্ত্রীর

ধান-চাল ক্রয়ে গতি বাড়ানোর তাগিদ খাদ্যমন্ত্রীর

Published at জুন ১০, ২০২০

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ধান চাল ক্রয়ে গতি ত্বরান্বিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একইসাথে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর অবৈধ কার্ড বাতিলে শক্ত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি। প্রয়োজনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে বলেন তিনি।

আজ (বুধবার, ১০ জুন) সকাল ১১ টায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভার সমন্বয় করেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

সভায় মন্ত্রী বলেন- কৃষক বোরোতে এবার বাম্পার ফলন ও ন্যায্য দাম পাচ্ছে। ধান চাল ক্রয়ে সরকারী সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। এছাড়া বিনির্দেশ মোতাবেক খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে। ধান-চাল কেনায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ারও হুশিয়ারী দেন তিনি।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেয়া হয়েছিল  অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরীব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা প্রেরণ করার। এজন্য যেকোনো প্রকার হুমকি-ধামকিকে ভয় না করে; স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করার। তিনি প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরি করার সময়ে যে ট্যাগ অফিসার ছিলেন তাদেরকে সরিয়ে নতুন করে কোনো ট্যাগ অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে হালনাগাদ করে নতুন তালিকা প্রণয়ন করার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, এ দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে প্রয়োজনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে প্রদান করা হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মে মাসেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল দেয়া হয়েছে।

এবারের প্রকিউরমেন্ট যেন কৃষক বান্ধব প্রকিউরমেন্ট হয়। চালের মান নিয়ে কোনো আপোষ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, লটারি করার পর নির্বাচিত কৃষকের তালিকা যেন ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের তথ্যকেন্দ্রে এবং উপজেলা খাদ্য অফিসে দৃশ্যমানভাবে টানানো হয়। নির্বাচিত কৃষক ধান দিতে না পারলে সঙ্গে সঙ্গে তালিকায় অপেক্ষমান কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি কোন কৃষক যেন তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের নিকট বিক্রি না করেন এজন্য মন্ত্রী সাবধান করে দেন।

সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাসকগণ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ সহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ আশ্বস্ত করে বলেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টার্গেটকৃত ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক সংগ্রহ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসকগণ, চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ বক্তব্য রাখেন।

This post has already been read 1484 times!