Thursday 28th of March 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে দাম অস্বাভাবিকভাবে কমেছে -কৃষিমন্ত্রী

ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে দাম অস্বাভাবিকভাবে কমেছে -কৃষিমন্ত্রী

Published at জুন ১৬, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে দাম অস্বাভাবিকভাবে কমেছে। এছাড়াও শ্রমিকের দামও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। আগে দু’এক বেলা ভাত খেয়ে কাজ করে দিত। এখন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এর অর্থ হলো মানুষের জীবনযাত্রার মান ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। আমাদেরকে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে যেতে হবে। কৃষিতে বরাদ্দের অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে। আমাদের জমিগুলো আকার ছোট। তাই আমাদের দেশীয় উপযোগি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করতে হবে। অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করার সময় বিষয়টি চিন্তা করতে হবে

রবিবার (১৬ জুন) ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৯ উপলক্ষ্যে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটোরিয়ামে ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান মন্ত্রীর উদ্বৃতি দিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষির জন্য টাকা কোনো সমস্যার হবে না। ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দরকার হলে আরো টাকা দেয়া হবে,  আরো কমানো হবে সারের দাম। কৃষি উন্নয়নে যা যা করণীয় তা-ই করা হবে। আমরা কৃষি পণ্য রপ্তানিতে শতকরা ২০ ভাগ ভূর্তকি দিচ্ছি। চাল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। করের পরিমানও বাড়ানো হয়েছে। ফিলিপাইনের সাথে দেশি ব্যবসায়ীর আলোচনা হয়েছে, ২-৩ লাখ মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করা যেতে পারে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে। আমাদের জমি কম ও অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও আমাদের উৎপাদন বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া। এজন্য পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিকরতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির যেখানে ১৩ হাজার কোটি টাকা ছিলো, সেখানে চলতি বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে ৭৪ হাজার কোটি টাকা করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদেরকে জনগণের আয় বৃদ্ধি করতে হবে। আয় বৃদ্ধি করতে আমাদেরকে রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে। এজন্য কৃষির বাণিজ্যিকীকরণসহ উচ্চ মূল্যের ফসল চাষাবাদে এগিয়ে আসতে হবে। এতে করে আমাদের জনগণের আয় যেমন বাড়বে, তেমনিভাবে স্থানীয় বাজারও সম্প্রসারিত হবে।

কৃষি সচিব মো.  নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, কৃষিতে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক ফসল হানি ঘটে থাকে। শস্য বীমা চালু হলে যে মানুষটি নি:স্ব হয়ে যায় তখন সে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কৃষক যেটাতে লাভ বেশি পাবে সেটাই চাষ করবে।

This post has already been read 2481 times!