Thursday 18th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / জয়পুরহাট সদরে ৭১৫ জনের মাঝে আউশ প্রনোদণা বিতরন

জয়পুরহাট সদরে ৭১৫ জনের মাঝে আউশ প্রনোদণা বিতরন

Published at এপ্রিল ২৭, ২০২০

মো. এমদাদুল হক (রাজশাহী) : জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উদ্যোগে গত শুক্রবার গত (২৪ এপ্রিল) উপজেলা পরিষদ চত্তরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে আউশ প্রনোদনার বীজ ও সার বিতরন অনুষ্ঠিত করা হয়।

ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে আউশ প্রনোদনার বীজ ও সার বিতরণ করেন জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব মো. কায়ছার ইকবাল। প্রনোদনা বিতরনে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ জনাব ফারজানা হক, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার অমল চন্দ্র এবং উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ।

প্রনোদনা বিতরন অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জনাব মো: কায়ছার ইকবাল বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আর তাই কৃষি পূর্নবাসন কর্মসুচীর আওতায় চলতি খরিপ-১/২০২০-২১ মৌসুমে উপজেলায় ৭০০ জনকে আউশ ও ১৫ জনকে গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ চাষের জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে আউশ ধান চাষে বীজ ০৫ কেজি, ডিএপি সার ২০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি এবং গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ চাষে বীজ ২০০ গ্রাম, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি হারে প্রদান করা হবে। সেই লক্ষ্যে অত্র উপজেলায় উফসী আউশ ধান চাষে ৭০০ বিঘার জন্য ৭০০ জন এবং গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ চাষে ১৫ বিঘার জন্য ১৫ জন মোট ৭১৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রনোদনা প্রদান করা হবে।

তিনি আরো বলেন, অত্র উপজেলা ধান, গম, আখ ও সবজি প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে গম ও বোরো ধান এবং সবজি সংগ্রহের পর আমন ধান রোপন পর্যন্ত যে সময়টুকু জমি পতিত থাকে সে সময়ের মধ্যে আউশ আবাদ সম্পন্ন করা সম্ভব এবং দেশে পিয়াজের ঘাটতি পুরুনে গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ চাষের মাধ্যমে তা পুরুন করা সম্ভব। আর তাই সরকার আউশ ধান ও পিয়াজের আবাদ বৃদ্ধির জন্য প্রনোদনা সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এই প্রনোদনার সহায়তা কাজে লাগিয়ে আউশ ধান ও পিয়াজ চাষ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান এবং তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতায় করার আশ্বাস প্রদান করেন।

প্রনোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকসহ প্রায় ৪০ জন উপস্থিত ছিলেন। নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা হয়। প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষকের বাড়ি বাড়ি পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

This post has already been read 1883 times!