Saturday 20th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / চাল আমদানির চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার

চাল আমদানির চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার

Published at জুন ২৭, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না। ইতোমধ্যেই সরকার চাল আমদানি করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। এই করোনাকালীন সময়ে অপপ্রচেষ্টার মাধ্যমে যদি চালের মূল্য বাড়ানো হয়, তাহলে সরকারিভাবেই চাল আমদানি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ (শনিবার, ২৭ জুন) সকাল ১১টায় নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলা কৃষি ও বন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত গাছের চারা এবং সবজির বীজ সহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি । এই করোনা কালীন সময়ে যদি অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের মূল্য বৃদ্ধি করা হয় তাহলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। প্রয়োজনে সরকারিভাবেই চাল আমদানি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যোগ করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। আপনারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চাল সরকারি গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিবেন। অতীতেও আপনারা সরকারকে চাল দিয়ে সহযোগিতা করেছেন; আশা করি এ বছরও সরকারি গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাল দিয়ে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। তিনি বলেন, এখন ভরা মৌসুম; এই সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি পাবার কোন কারণ নেই।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে। প্রতি ইঞ্চি জমি যেন চাষাবাদ করা হয়। সেই আলোকেই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাছের চারা ও সবজির বীজ সহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাছের চারা, সবজির বীজ ও অন্যান্য উপকরণ কৃষকেরা গ্রহণ করে। মন্ত্রী বলেন, একটি গাছ নিধন করা আর একজন মানুষ হত্যা করা প্রায় সমান, যেহেতু গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি। কোন গাছ যেন কাটা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ উপস্থিত সকলকে নির্দেশ দেন।

চালকল মালিকদের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং সরকারি গুদামে চাল দেবার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, চালের বাজার অস্থিতিশীল হলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে।

অনুষ্ঠানে পোরশা উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পোরশা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2747 times!