Saturday 20th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / কৃষিমন্ত্রীর সাথে এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

কৃষিমন্ত্রীর সাথে এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

Published at সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০

এফএও বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপির সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপির সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে ২০২২ সালে এফএও’র ৩৬তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন বাংলাদেশে আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতি, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, কৃষিতে ইনোভেশন ল্যাব, করোনাপরিস্থিতিতে কৃষিক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ এবং কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ দানাদার জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন দেশে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ খুবই প্রয়োজন। স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ কিছুটা হচ্ছে। তবে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে নেসলে, কেলোগ প্রভৃতির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা দরকার, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দরকার। এ সময় কৃষিমন্ত্রী কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ও সহযোগিতার বিষয়ে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতা কামনা করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার চলমান আছে। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য অনেক জাত উদ্ভাবন হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো সেচের জন্য ফ্রেশ পানির অভাব। সেজন্য খালগুলো পুন:খনন করে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়া, অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদও বাড়ানো দরকার। এসব ক্ষেত্রে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে।

এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় অফিসগুলোর সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, কৃষিক্ষেত্রের উদ্ভাবনী বা আইডিয়াগুলো সংরক্ষণ ও শেয়ার করার জন্য ‘ইনোভেশন ল্যাব’ স্থাপন করা প্রয়োজন।

This post has already been read 1519 times!