Thursday 18th of April 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / ইফতারীর সঙ্গী হোক মৌসুমীর ফলের রস

ইফতারীর সঙ্গী হোক মৌসুমীর ফলের রস

Published at জুন ৭, ২০১৮

ইফরান আল রাফি (পবিপ্রবি): বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে প্রকৃতি যখন রুক্ষ তখন প্রকৃতিরাজ্যে দেখা দেয় রসালো সুমিষ্ট আর পুষ্টিগুণে ভরপুর নানা দেশীয় ফল। তাই ইফতারীর সাথে তেলজাতীয় ভাজা খাবারের পরিবর্তে মোসুমী ফলের রস আপনার শরীর এবং মন ‍দুটোকেই করবে সতেজ ও চাঙ্গা। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, বাঙ্গি, বেলে ইত্যাদি সহজলভ্য আর পুষ্টিগুণে ভরপুর দেশীয় ফল আপনাকে যেমন দিবে নানা পুষ্টি উপাদান তেমনি আপনার শরীরকে রাখবে সুস্থ ও সতেজ। কয়েকটি দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ আলোচনা করা হল:

আম: পাকা আমের সৌরভে মৌ মৌ করছে চারদিক।গবেষকরা বলেছেন যে, আমে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটা কোলন, স্তন,লিউকেমিয়া এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। আমে উচ্চ আঁশ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় তা হৃদরোগের সম্ভবনাকে উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে কমায়। গ্রীষ্মের প্রচন্ড খড়রৌদ্রে একটি আমের রসের  সাথে সামান্য পানি, এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীর যেমন ঠান্ডা হয় তেমনি হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হয়।

প্রতি ১০০ গ্রাম আমে রয়েছে: 

ভিটামিন এ (মিঃ গ্রাম)-২৯৩

ভিটামিন সি (মিঃ গ্রাম)-৩৪.৭

আয়রন (মিঃ গ্রাম)-০.৫

ক্যালসিয়াম(মিঃ গ্রাম)-১৪

ফাইবার(গ্রাম)-১.৩

এনার্জি (কিঃ ক্যালরী)-৭০

জাম: জাম আমাদের দেশের জ্যৈষ্ঠ মাসের একটি স্বল্পকালীন ফল। জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। জাম রক্ত থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। জাম খেলে বিভিন্ন চর্ম রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। পেটের অসুখে জন্য খুবই উপকারী। ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য জাম খুবই উপকারী। যাদের পাইলস রোগ আছে তারাও জাম খেলে উপকার পাবেন।

প্রতি ১০০ গ্রাম জামে রয়েছে:

ভিটামিন এ (মিঃ গ্রাম)-৯৩

ভিটামিন সি (মিঃ গ্রাম)-৭৪.১

আয়রন (মিঃ গ্রাম)-০.৮

ক্যালসিয়াম(মিঃগ্রাম)-২৩

ফাইবার(গ্রাম)-৩.৫

এনার্জি (কিঃ ক্যালরী)-৩৯

বেল: গরমের দিনে এক গ্লাস বেলের শরবত শরীর ও মনে তৃপ্তি যোগায়। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়-ডায়রিয়া রোগে কাঁচা বেল নিয়মিত খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। পাকা বেল কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহৌষধ। জন্ডিসের সময় পাকা বেল শরবত করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া পাইলস, অ্যানাল ফিস্টুলা, হেমোরয়েড (মলদ্বারের রোগ) রোগীদের জন্য বেল খুবই উপকারী ফল।

প্রতি ১০০ গ্রাম বেলে রয়েছে:

ভিটামিন এ (মিঃগ্রাম)-৫২

ভিটামিন সি (মিঃ গ্রাম)-১১.৩

আয়রন (মিঃ গ্রাম)-০.৪

ক্যালসিয়াম(মিঃ গ্রাম)-৪১

ফাইবার(গ্রাম)-৭.০

এনার্জি (কিঃক্যালরী)-১১১

তথ্য সূত্র: পুষ্টি বার্তা, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান অনুষদ,পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

This post has already been read 1617 times!