Tuesday 16th of April 2024
Home / uncategorized / আলুর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রধান বাঁধা লেট ব্লাইট ও উপযোগি জাত

আলুর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রধান বাঁধা লেট ব্লাইট ও উপযোগি জাত

Published at ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯

কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেখা করেন সিআইপি প্রতিনিধি দল)

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বাংলাদেশকে আলুর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এদেশে আলুর উৎপাদন ভালো তবে প্রক্রিয়াজাতকরণে জন্য তেমন উপযোগি নয়। এজন্য চিপস ও ফ্রাঞ্চ ফ্রাইসহ অন্যান্য খাদ্য তৈরির আলুর জাত উদ্ভাবন করতে হবে। ভারতে স্বল্প সময়ে আহরণ উপযোগি আলুর জাত রয়েছে।’

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র (International Potato Center, CIP) এর একটি প্রতিনিধিদল কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে দেখা করতে গেলে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারি ও কান্ট্রি ম্যানেজার ড. ইউএস সিং এসব কথা বলেন। এ সময় তারা আলুর টিস্যু কালচার ও স্ট্যাম্প কাটিং এর কিছু নমুনা তুলে ধরেন। এ সময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি মন্ত্রী বলেন,দেশে কৃষি উৎপাদনের দিক থেকে ধান,গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটির কারণে কিছু জেলায় আলুর প্রায় ৩০টি জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। বিগত বছরে আলুর উৎপাদন আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ মে.টন বেশি হয়েছে। লেইট ব্লাইট (Late blight) রোগের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে আমরা প্রবেশ করতে পারছিনা। যদিও বাংলাদেশ থেকে অনেক কৃষিজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন,দেশের কৃষিখাতের জন্য টাকার কোন সমস্যা নেই। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই,কিভাবে আলুর উন্নয়ন করে এর প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায়।

কৃষি সচিব বলেন,আমাদের বার্ষিক বীজের চাহিদা ৬ লাখ মে.টন। এর মধ্যে বিএডিসি টিস্যূ কালচারের মাধ্যমে উৎপাদন করে ১ লাখ মে:টন। বাকি বীজ আমাদের দেশের কৃষকরা উৎপাদন করে। যদিও আমাদের আলুর জন্য জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)তে ল্যাব রয়েছে। এছাড়াও বিএডিসি’র টিস্যূ কালচার ল্যাবে বীজ উৎপন্ন করে থাকে। আমাদের দেশে কৃষক’রা লাভবান ফসল উৎপাদনে বরাবরই আগ্রহী, যেমন- বিদেশি হানি মেলন এখন যশোরের কিছু এলাকায় চাষ হচ্ছে।

প্রতিনিধিদলের নেতৃবৃন্দ এ খাতে বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন সিআইপি এশিয়া মহাদেশের পরিচালক ড. সমরেন্দু মহান্তী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর সাবেক মহাপরিচালক ড. এম.এ. বারী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লুৎফুল হোসেন।

This post has already been read 2721 times!