Wednesday 24th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / আউশ আবাদে বুক বেধেছেন রাজশাহীর ধান চাষিরা

আউশ আবাদে বুক বেধেছেন রাজশাহীর ধান চাষিরা

Published at জুলাই ১, ২০২০

কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ও কৃষি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা এবং পরামর্শে এবং রাজশাহী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০৯৬০ হে. রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতা অক্লান্ত পরিশ্রমে আউশে আবাদের লক্ষ মাত্রারর চেয়ে বেশী অর্জিত হয়েছে। যা রাজশাহীতে গত বছরের চেয়ে বেশি। আউশ আবাদ বৃদ্ধির পরিকল্পনা, বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ। উপজেলা ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকলের আন্তরিক চেষ্টা এবং কৃষক ভাইদের অক্লান্ত পরিশ্রম কারনে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া আউশ আবাদের অনুকূলে থাকায় কৃষক আশায় বুক বেধেছেন। চাষীরা স্বপ্ন দেখার অন্যতম কারন গত বোরো মৌসুমে চাষিরা ধানের ভালো দাম পেয়েছেন।

রাজশাহী অঞ্চলের আউশ আবাদ মোটামুটি বৃষ্টি নির্ভর। এ বছর বৃষ্টিপাত ভাল হয়েছে যা আউশ আবাদের অনুকূলে। আর সরকারী প্রণোদনা এবং ধানের দাম ভাল থাকায় চাষিদের আগ্রহ অনেক গুন বেড়েছে যা চলমান খাদ্য নিরাপত্তাকে আরোও বেগবান করবে।

এ সম্পর্কে গোদাগাড়ী উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম এর নিকট আউশ বৃদ্ধির বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, বোরো আবাদে পানির সংকট থাকে কিন্তু রোপা আউশে তা দেখা যায় না এমন কি উৎপাদন খরচ তুলনা করলে দেখা যায় বোরো ধানে খরচ বেশি। রোপা আমন আবাদ করার পর সমস্ত জমিতে ভুট্রা ও আলু আবাদ হয়।
তিনি আরোও বলেন, বোরো ধান উৎপাদনের চেয়ে রোপা আউশ উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেক। রোপা আউশ উৎপাদনে কোন ঝুকি নাই। এই সমস্ত কারনে গোদাগাড়ী রোপা আউশের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে রোপা আউশের আবাদ এ বছরের চেয়ে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব কার্যক্রমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও পতিত থাকবে না এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কৃষি বিভাগ করে যাচ্ছে।

This post has already been read 1710 times!