Friday 29th of March 2024
Home / অন্যান্য / গভীর রাতে ছাত্রী হলের সামনে ছাত্রদের আশালীন আচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

গভীর রাতে ছাত্রী হলের সামনে ছাত্রদের আশালীন আচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

Published at ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯

মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলের সামনে গভীর রাতে ছাত্রদের উচ্ছৃঙ্খলা, ছাত্রীদের নাম ধরে ডাকা, অশালীন গান ও চিৎকার-চেঁচামেচি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের সামনে সাধারণ ছাত্রীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রীহলের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, পাপড়ি ও হায়মা হায়দার এবং তাপসী রাবেয়া হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তানজিলা ইসলাম।

বক্তারা জানান, ক্যাম্পাসের পরিবেশ হওয়ার কথা একজন ছাত্রীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদের, অথচ সেই ক্যাম্পাসেই নিজের সহপাঠী, বড়ভাই, কখনো কখনো জুনিয়রদের দ্বারাও মেয়েদের অপমানের শিকার হতে হচ্ছে। বেশ কিছুদিন থেকে এ মাত্রা বেড়ে চলছে। প্রশাসণের সামনেই সবকিছু হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে তাদের কর্মসূচী দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে অতিসত্বর প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছাত্রীহলের সামনে প্রতিদিন রাতে ঘটে যাওয়া এ সমস্যার সমাধান দাবি করেন বক্তারা।

এদিকে ছাত্রী হলগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর ২৯৩ জন ছাত্রীর স্বাক্ষরকৃত একটি স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাকৃবির ছাত্রী হলের সামনে গভীর রাতে একদল উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র প্রতিনিয়ত অশালীন গান, চিৎকার-চেঁচামেচি করে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছে। এর আগেও হলের দেয়ালগুলোতে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা লেখা এবং হলের সামনে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে বিরক্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কার্যকরী উদ্যোগের অভাব ও জড়িতরা শাস্তি না পাওয়ায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। মানববন্ধনে ছাত্রীরা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং মানবিক নৈতিকতার সাথে সম্পর্কিত। দ্রæত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. তানভীর রহমান বলেন, আগে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল। বর্তমানে যদি এমন কাজ কেউ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

This post has already been read 1610 times!