Thursday 25th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় করতে মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরে চিঠি

অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় করতে মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরে চিঠি

Published at এপ্রিল ২০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমনের পর এবার বোরো মৌসুমী ২২ উপজেলায় কৃষক অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করবে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাপে ধান সংগ্রহের উপজেলাগুলো অনুমোদন দিয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে। ২২ উপজেলার মধ্যে আগের ১৬টি উপজেলাও রয়েছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, চলতি বোরো মৌসুমে ২২টি উপজেলায় ‘ডিজিটাল খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করার অনুমোদন দেয়া হলো।

উপজেলাগুলো হলো- সাভার, গাজীপুর সদর, নরসিংদী সদর, মানিকগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, রাজবাড়ী সদর, টাঙ্গাইল সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, শেরপুর সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর, মৌলভীবাজার সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরিশাল সদর।

গত আমন মৌসুমে ১৬টি জেলার ১৬টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনা হয়। পরে এক বৈঠকে জানানো হয়, এবার বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ৬৪ জেলার একটি করে উপজেলায় ধান ও ১৬ উপজেলায় (অ্যাপে আমন সংগ্রহ করা) মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে। কিন্তু বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই অবস্থান থেকে সরে আসা হয়।

স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় যদি যৌক্তিক প্রতীয়মান না হয় বা করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা যদি এতে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ নীতিমালা অনুসরণ করে প্রচলিত পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

কৃষক তথ্য দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করবে। রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ্রুভড হলে তিনি ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ডেটাবেজে জমা হবে। পরে উপজেলা নির্রাহী অফিসারের (ইউএনও) নেতৃত্বে উপজেলা কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে লটারি করবে। লটারির মাধ্যমে যেসব কৃষক নির্বাচিত হবে তাদের অনলাইনেই বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে। কৃষক এসব বিষয়ে মোবাইলে এসএমএস পাবেন।

এছাড়া একটা ওয়েটিং লিস্টও তৈরি করা হবে। নির্বাচিত কোনো কৃষক যদি ধান দিতে না পার তবে ওয়েটিং লিস্ট থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এবার বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল (আতপ ও সিদ্ধ) কেনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনা হবে।

This post has already been read 3331 times!